পয়োনিষ্কাশন-গ্যাসলাইন পরীক্ষায় প্রতি ওয়ার্ডে তদারকি দল গঠনের নির্দেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের ভবন-স্থাপনার পয়োনিষ্কাশন-গ্যাসলাইন পরীক্ষায় বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি করে তদারকি দল গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে এসব তদারকি দল গঠন করতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ১৬ মের মধ্যে বিবাদীদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার একটি তিনতলা ভবন ও সিদ্দিকবাজারের একটি সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ১২ মার্চ রিটটি করা হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিটটি করা হয়।

আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজাওয়ার।

ঢাকা সিটিতে অবস্থিত ভবন-স্থাপনাগুলো নিয়মিত তদারকি ও সিটিতে বসবাসকারীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

গণপূর্তসচিব, বিদ্যুৎসচিব, স্থানীয় সরকারসচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাস ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর অবহেলা। ঢাকা শহরে থাকা হাজার হাজার স্থাপনা বা ভবনের পয়োনিষ্কাশন ও গ্যাসের লাইন তদারকি, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো এ বিষয়ে সক্রিয় নয়। যে কারণে রিটটি করা হয়।

দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের গ্যাস ও পয়োনিষ্কাশন লাইন তদারকির জন্য সাত সদস্যের একটি করে কমিটি গঠন করে কার্যক্রম শুরু করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান এই আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি থাকবে। আট সপ্তাহ পর অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’

আরও পড়ুন