আসকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে কিডনি রোগী ও তাঁদের স্বজনদের বিক্ষোভে পুলিশ অনেককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এ ঘটনায় ওই রোগী ও স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলাও দিয়েছে পুলিশ। আসক বলছে, এ পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার বা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে অন্তরায়। এমন পরিস্থিতিতে ডায়ালাইসিসের ফি বাড়ানো নিঃসন্দেহে সাধারণ কিডনি রোগীদের আরও চাপে ফেলবে বলে মনে করে আসক। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও বিক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনদের ওপর শক্তি প্রয়োগ না করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন ছিল।
চমেক হাসপাতালের অধীন স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা দেয়। ১ জানুয়ারি থেকে একবারের ডায়ালাইসিস ভর্তুকিতে ৫১০ টাকার জায়গায় ৫৩৫ টাকা এবং ভর্তুকি ছাড়া ২ হাজার ৭৮৫ টাকার জায়গায় ২ হাজার ৯৩৫ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি এত দিন যেসব রোগী মাসে কমপক্ষে ৮ থেকে ১২টি ডায়ালাইসিস সেবা ভর্তুকিতে পেতেন, তাঁরা এখন থেকে ৪ থেকে ৬টির ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাবেন। বাকিগুলো করাতে হবে প্রতিটি ২ হাজার ৯৩৫ টাকা করে।
এদিকে স্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ আহ্বায়ক ফয়জুল হাকিমের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের নামে সরকার নাগরিকদের ঘাড়ের ওপর চিকিৎসা ব্যয় চাপিয়ে দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় চিকিৎসাসেবা খাতকে বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া চালু করেছে। বিবৃতিতে রোগীপ্রতি ডায়ালাইসিসের ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রওশন আরা, জনস্বাস্থ্য সংগঠক অনুপ কুন্ডু ও সামিউল আলম। বিজ্ঞপ্তি