সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে সম্পদের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে রিট

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে সম্পদের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। এই রিটে ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’ ও ‘ব্রিটেনে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য’ শিরোনামে দুটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান আবেদনকারী হয়ে রিটটি দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন

রিট দায়েরের বিষয়টি জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রকাশিত ওই সংবাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চেয়ে গত ২৮ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করা হয়। এতে ফল না পেয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে  দুদকের চেয়ারম্যান, কমিশনার (অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত) ও সচিব বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এরপরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য রিটটি (মেনশন স্লিপ) আগামী রোববার জমা দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে সম্পদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশে সম্পদ থাকার কথা গোপন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তবে তিনি দাবি করেছেন, বিদেশের সম্পদ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নেননি। সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তাঁর বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেছেন। তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেছেন। এরপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন। হলফনামায় বিদেশে সম্পদের তথ্য দেওয়ার আলাদা কোনো ছক নেই বলেও জানান তিনি।

তাঁর এই বক্তব্য অযৌক্তিক বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা বা অপর্যাপ্ত তথ্য প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। হলফনামায় একজন প্রার্থীর সব সম্পদের বিবরণ প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুক না কেন। এ ঘটনার তদন্ত দাবি করে টিআইবি।