চট্টগ্রামে সূর্যের দেখা নেই, ঠান্ডার অনুভূতি বেশি

সকাল থেকেই দেখা মেলেনি সূর্যের। মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যেও বইছিল ঠান্ডা বাতাস। এ জন্য শিশু ও বৃদ্ধরা শীতে বেশি কষ্ট পেয়েছে। স্কুল ছুটির সন্তানকে চাদর মুড়ি দিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন এক মা। গতকাল বেলা দেড়টায় নগরের নন্দনকানের ডিসি হিল এলাকায়ছবি: সৌরভ দাশ

সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও আজ বুধবার চট্টগ্রামের আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনের শুরু থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আর ঘোলাটে। বেলা বাড়লেও শীতের অনুভূতিও কমেনি।

সাগরে লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানায়। আজ চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১টায় তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রিতে উঠলেও হালকা বাতাসের কারণে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি কম অনুভূত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা গতকালের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও সূর্য না থাকায় শীতের অনুভূতি কমেনি। নগরের সড়কগুলোয় যানবাহন স্বাভাবিক থাকলেও শীতের কাপড় জড়িয়ে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে শীতের অনুভূতি বেশি। আগামী দুই দিনে চট্টগ্রামে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে চট্টগ্রামে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া আগামী কয়েক দিনের তাপমাত্রা আগের দিনের তুলনায় কমতে পারে। আর রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।

আবহাওয়া পূর্বাভাস জানায়, আগামী দুই দিন খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা ও অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।