‘স্মার্ট’ শহর ও গ্রাম গড়তে সরকারের কর্মশালা

স্মার্ট শহর ও গ্রাম গড়তে সরকারের উচ্চপর্যায়ে কর্মশালার আয়োজন করে এটুআই
ছবি: সংগৃহীত

ন্যূনতম পরিবেশগত প্রভাব নিশ্চিত করে প্রযুক্তির সহায়তায় নাগরিকদের উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে হবে স্মার্ট শহর। স্মার্ট গ্রামের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশ্ববাজারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পাবে। সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে শহর ও গ্রামকে স্মার্ট করতে একটি কর্মশালার আয়োজনে এসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) উদ্যোগে ‘ভিশন ২০৪১: বিল্ডিং স্মার্ট সিটি অ্যান্ড স্মার্ট ভিলেজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।

কর্মশালায় বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত স্মার্ট শহর কাঠামোতে স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন, জননিরাপত্তা, পরিষেবা এবং নগর প্রশাসনসহ মোট পাঁচটি উপাদান ও পরিষেবাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের বিভিন্ন সেবা প্রদানব্যবস্থাকে উন্নত করা, খাদ্য সরবরাহব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বিকাশে স্মার্ট গ্রাম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

স্থানীয় সরকার ও আইসিটি বিভাগ সাধারণ মানুষের আশা পূরণে সামনের দিনে সম্মিলিতভাবে জনকল্যাণমূলক কাজ করতে পারে বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্মার্ট শহর বাস্তবায়নে নির্ধারিত এলাকার বসবাসরত জনসংখ্যাকে বিবেচনায় নিয়ে ওই এলাকার জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে।

কার কোন জায়গায় কাজ করার সুযোগ আছে, তার একটি সুনির্দিষ্ট ক্যানভাস তৈরির পাশাপাশি কাজের মধ্যে সমন্বয় রাখার কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান কর্মশালায় হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও হিউম্যানওয়্যারকে একসঙ্গে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল কানেকটিভিটি ছাড়া স্মার্ট শহর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক এগিয়ে রয়েছে।

স্মার্ট শহর তৈরিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদের সভাপতিত্বে ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশে নকিয়ার কান্ট্রি হেড মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নেতা, নগর-পরিকল্পনাবিদ প্রমুখ। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।