তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারের দাবি
সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো আইন সংশোধন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা)। এ অবস্থায় তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়। বাটা ও ওয়ার্ক ফর আ বেটার বাংলাদেশ (ডাবিøউবিবি) ট্রাস্ট যৌথ উদ্যোগে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও সংশোধনের বর্তমান অবস্থা ও করণীয়বিষয়ক’ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় আলোচকেরা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের পর থেকেই তামাক কোম্পানিগুলো আইন বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বর্তমানে কোম্পানিগুলোর আইন সংশোধন বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। শুধু আইন সংশোধন নয়, তামাক নিয়ন্ত্রণের সপক্ষে প্রায় সব নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ দৃশ্যমান। সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন নির্দেশিকা স্থগিত করার প্রচেষ্টা, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বৃদ্ধিতে হস্তক্ষেপ ও আইন সংশোধন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান ও বাটার উপদেষ্টা আবু নাসের খান এতে সভাপতিত্ব করেন। ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামের (হাসিব) সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম (মিঠু)। সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের কান্ট্রি ম্যানেজার নাসির উদ্দিন শেখ, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন, ডাবি উবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাবি উবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি প্রধান সৈয়দা অনন্যা রহমান।
সভায় বক্তারা তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দ্রুত তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার, এফসিটিসির আর্টিকেল ৫.৩ অনুসারে কোড অব কন্ডাক্ট প্রণয়ন, সব ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের তালিকা থেকে তামাক কোম্পানির নাম বাদ দেওয়া এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলোকে আর্থিক বরাদ্দের মাধ্যমে মনিটরিংয়ে যুক্ত করার জোর দাবি জানান।