কক্সবাজারে র‌্যাবের সঙ্গে ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধ, গুলিতে কৃষকের মৃত্যু

কক্সবাজার জেলার ম্যাপ

কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে অপহৃত একজন এনজিও কর্মীকে উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাবের সঙ্গে ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন কৃষক মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাপাড়ার পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষকের নাম বায়তুল্লাহ (৫২)। তিনি ওই গ্রামের মৃত ছৈয়দুল হকের ছেলে।

অভিযানে র‍্যাবের সদস্যরা ডাকাত দল শের বাহিনীর অন্যতম সহযোগী ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে। একই সময় অপহৃত এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরীকেও উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার ফরহাদকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, বেসরকারি সংস্থা প্রত্যাশীর কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে গতকাল বিকেলে অপহরণ করে ডাকাত দল শের বাহিনী। রাতে তাঁকে মুরাপাড়ার একটি পাহাড়ে আটকে রেখে পরিবারের কাছে ছয় লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে ডাকাত দল।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গতকাল বিকেলে ডাকাত দল শের বাহিনীর ফরহাদ-বোরহানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এনজিও কর্মী মাসুদকে অপহরণ করে পাহাড়ের আস্তানায় বেঁধে রেখে মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে। খবর পেয়ে র‌্যাব সেখানে অভিযান শুরু করলে ডাকাত দল এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলিতে স্থানীয় কৃষক বায়তুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন এবং ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় র‌্যাবের একজন সদস্যও আহত হন। পরে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্য ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ সাতটির বেশি মামলা রয়েছে।

শের বাহিনী কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও অপহরণ করে চাঁদা ও মুক্তিপণ আদায় করে আসছে।

নিহত বায়তুল্লাহর বড় ভাই করিম উল্লাহ বলেন, শের বাহিনীর সন্ত্রাসী ফরহাদ-বোরহানের নেতৃত্বে ডাকাত দলের সদস্যরা র‌্যাবের ওপর হামলা চালায়। শের বাহিনী এলাকায় দীর্ঘকাল ধরে ভারুয়াখালী বাজারসহ আশপাশে চাঁদাবাজি ও অপহরণ করে আসছে। ভাই হত্যার ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।