গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তালিকা প্রশ্নবিদ্ধ ও বিভ্রান্তিকর: টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)
প্রথম আলো ফাইল ছবি

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তালিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ, বিভ্রান্তিকর ও অবিবেচনাপ্রসূত বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এর মাধ্যমে আইনের অপপ্রয়োগের আশঙ্কা করেছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে টিআইবি এসব কথা বলেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ধারা ১৫–এর ক্ষমতাবলে আইসিটি বিভাগ সম্প্রতি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করেছে।

টিআইবি এ ঘোষণার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সংস্থাটি বলেছে, কোনো রাষ্ট্রীয় নীতি সমর্থিত না হওয়ার পরেও এ তালিকার প্রকাশ বেশ কিছু মৌলিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের দাবির যৌক্তিকতা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, কোন বিবেচনায় এ তালিকা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলা হলেও, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী এ তালিকার বাইরে রয়ে গেছে। একইভাবে বাদ পড়েছে জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, অডিট (নিরীক্ষা) বিভাগ, স্বাস্থ্য খাত, কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান। চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ছাড়া বাকি কোনো ব্যাংকই এ তালিকায় স্থান পায়নি। তালিকাটি প্রশ্নবিদ্ধ ও অবিবেচনাপ্রসূত।

আরও পড়ুন

রাষ্ট্রীয় ও জননিরাপত্তাসংক্রান্ত নীতিমালা করা জরুরি উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সুস্পষ্ট নীতি নির্দেশনা না থাকলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না, যথেচ্ছ অপপ্রয়োগ হবে। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ বা তথ্য অধিকার আইনের অধীন তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আছে। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পিউটার নেটওয়ার্কের পরিবর্তে পুরো প্রতিষ্ঠানকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, এ তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আরও একটি দুর্বলতা সামনে চলে এসেছে। আইনটি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবর্তে নিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
সরকারের প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।