সুজন সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে এনে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে ‘জামিন না দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা’ নিয়ে তাঁদের দেওয়া এক বিবৃতিকে কেন্দ্র করে আবেদনটি দায়ের করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী ১৯ জুলাই আবেদনটি করেছেন। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ হারুন–উর রশীদ, মাহফুজুর রহমান রোমান, মো. মনিরুজ্জামান রানা ও শফিক রায়হান শাওন।  

‘খাদিজাকে জামিন না দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন: সুজন’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে ১২ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে ওই আবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদিজাতুল কুবরাকে মাসের পর মাস জামিন না দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক। সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।…বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খাদিজার বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলার জামিন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর থেকে খাদিজার জামিনের আবেদন আদালতে বারবার খারিজ হচ্ছে। খাদিজাকে জামিন না দেওয়া চরম অমানবিক এবং আইন ও নীতিবিরুদ্ধ, যা নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

আপিল বিভাগ চার মাসের জন্য বিষয়টি স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন উল্লেখ করে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদনে বলা হয়, তারা (সুজন সভাপতি ও সম্পাদক) সম্পূর্ণ ভালোভাবে জেনে এবং তির্যক উদ্দেশ্য নিয়ে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন, যা ১২ জুলাই একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।

বিবৃতির অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে আবেদনে বলা হয়, ‘খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা অজামিনযোগ্য ও আমলযোগ্য অপরাধ। বিচার বিভাগ মামলার গুণাগুণ বিবেচনায় উপযুক্ত মনে করলে যেকোনো আদেশ দিতে পারেন। বিচারাধীন মামলায় কোনো ধরনের মানহানিকর বিবৃতি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি হুমকির পাশাপাশি অবমাননাকর।

আবেদনের প্রার্থনা অংশে দেখা যায়, ইচ্ছাকৃত অবমাননাকর লিখিত বিবৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আপিল বিভাগের আদেশ আগ্রাহ্য করায় সুজন সভাপতি ও সম্পাদকের প্রতি আদালত অবমাননার নোটিশ ইস্যু এবং তাদের ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়ার আরজি রয়েছে।