জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারসহ পাঁচ দফা দাবি জানাল ‘মায়ের কান্না’

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চেয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানায় মায়ের কান্না নামে একটি সংগঠন। আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনেছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের ফাঁসি, কারাদণ্ড এবং চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠন।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চেয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানান।

আজ সোমবার রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

দাবিগুলো হলো—জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চেয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা, বিদ্রোহ দমনের নামে অন্যায়ভাবে যাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সমবেত করার জায়গা রাষ্ট্রীয়ভাবে চিহ্নিত করা, যাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তাঁদের তালিকা প্রকাশ করে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, যাঁদের ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাঁদের সর্বোচ্চ পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান বেতন-ভাতা-পেনশনসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। জিয়াউর রহমানের কবর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে অপসারণের দাবি তুলেছে মায়ের কান্না।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরবর্তী সময়ে বিদ্রোহ দমনের নামে সামরিক আদালতে বিচারের নামে ২০৯ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছিল আরও ১ হাজার ১৪৩ জনকে। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন সেনা ও বিমানবাহিনীর আড়াই হাজার সদস্য।

মায়ের কান্নার সভাপতি কামরুজ্জামান মিঞার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী বিমানবাহিনী কর্মকর্তা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।