বিদেশফেরত নারীদের সহজ শর্তে ঋণের দাবি

দেশে ফিরে আসা নারী কর্মীদের নিয়ে নীতি-পর্যালোচনা নিবন্জাধ আকারে তুলে ধরে সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজ
ছবি: সংগৃহীত

দেশে ফিরে আসা অভিবাসী নারী কর্মীরা থাকেন নানা ঝুঁকিতে। অধিকাংশ মানুষ তাঁদের সুনজরে দেখে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বামী বা পরিবারও তাদের গ্রহণ করতে চায় না। এই নারীদের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে যুদ্ধ করতে হয়। তাই তাঁরা ব্যবসায় নামতে চাইলে তাঁদের পরামর্শ দিতে ক্যারিয়ার কাউন্সেলর নিয়োগ করতে হবে। তাঁদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।

দেশে ফিরে আসা নারী কর্মীদের নিয়ে নীতি-পর্যালোচনায় এসব কথা জানিয়েছে সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজ (সিডব্লিউসিএস)। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সিডব্লিউসিএস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই পর্যালোচনা নিবন্ধ আকারে তুলে ধরা হয়।

অসহায় ও পিছিয়ে পড়া বিদেশফেরত নারী কর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সিডব্লিউসিএস। তারা বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে নিবন্ধে। এতে বলা হয়, ঘরের দ্বারপ্রান্তে অভিবাসী পরিষেবা কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি বিদেশফেরত নারী কর্মীদের জন্য আলাদা তথ্যভান্ডার করতে হবে। এ ছাড়া যৌন শোষণ, নির্যাতন, জোরপূর্বক কাজ করানো, পাচারের শিকার বা ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি লিগ্যাল এইডের সহায়তায় বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিনা মূল্যে আইন সহায়তা প্রদান করতে হবে। আর ঋণের বিষয়ে শুধু অভিবাসনসংক্রান্ত কাগজ দেখে কোনো গ্যারান্টার (জামিনদার) ছাড়া ১ থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয় নিবন্ধে।

নারী অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে এমন ২২টি সংগঠন নিয়ে সিডব্লিউসিএস ২০২২ সালে নারী অভিবাসী কণ্ঠ নামের জোট গঠন করে। বর্তমানে এতে ২৫টি সংগঠন সদস্য হিসেবে আছে। সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

নিবন্ধ উপস্থাপন করেন সিডব্লিউসিএস সভাপতি ইশরাত শারমিন ও সংগঠনের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন। ফিরে আসা প্রবাসী নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে একটি প্রকল্পের আওতায় ঢাকার দুই উপজেলায় চার বছর ধরে কাজ করেছে সিডব্লিউসিএস। ২০২০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত কেরানীগঞ্জ ও নবাবগঞ্জে এটি পরিচালিত হয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁদের বিভিন্ন কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।