চট্টগ্রামে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের গণ–অনশন

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, বৈষম্য বিলোপ আইন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, পার্বত্য শা‌ন্তি চুক্তি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে গণ–অনশন পালন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। শনিবার চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লা চত্বরে ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম শাখার নেতারা সকাল-সন্ধ্যা গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অনশন পালন করা হয়। বিকেলে অনশনে গিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। এ সময় তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের অর্জন স্বাধীনতা। জাতীয় আন্দোলন-সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। ৭৫ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক বিষ-বাষ্প সমাজের রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। সাম্প্রদায়িকতাকে পরাজিত করতে হবে।

সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনসহ ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো আগামী নির্বাচনের আগে বাস্তবায়নে পদ‌ক্ষেপÿগ্রহণের আহ্বান জানান আবুল মোমেন। পরে তিনি শরবত পান করিয়ে অনশন ভাঙান।

অনশন কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত প্রস্তাব উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত। অনশনে উত্তর জেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি ইন্দু নন্দন দত্ত, পরিষদ নেতা অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু, তাপস হোড়, নিতাই প্রসাদ ঘোষ, প্রদীপ কুমার চৌধুরী, অধ্যাপক রণজিৎ কুমার দে, গোবিন্দ প্রসাদ মহাজন, অধ্যাপক বিজয় লক্ষ্মী দেবী, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, কাউন্সিলর নিলু নাগ, শ্যামল দাশ, নিবাস দাশ, সুমন দেবনাথ, হিল্লোল সেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।