নির্বাচনী বিতর্কে জিএস প্রার্থীদের শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার প্রতিশ্রুতি

ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত নির্বাচনী বিতর্কে ডাকসু নির্বাচনের জিএস প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন।ছবি: প্রথম আলো

নারী ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘ডাকসু নির্বাচনী বিতর্ক -২০২৫’–এ তাঁরা এসব প্রতিশ্রুতি দেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি এ বিতর্কের আয়োজন করে।

বিতর্কে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আমরা যখন ফ্রন্টলাইনে ছিলাম সেখানে ডান-বাম সব ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে আমরা এক জায়গায় নিয়ে কাজ করেছি। আমরা দেখেছি বিগত সময়ে বেশিরভাগ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে রাজনৈতিকভাবে। সেটিকে ভেঙে আমরা স্বচ্ছ শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করতে চাই।’

আবু বাকের মজুমদার আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টারগুলো অকার্যকর হয়ে আছে, সেগুলোকে কার্যকর করতে চাই। চেইন ফুড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের খাবার সমস্যার সমাধান করতে চাই। বাসের সংখ্যা এবং ট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চাই। ওয়ান আইডি অল সলিউশন ব্যাবস্থা চালু করতে চাই। আমরা একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে চাই।’

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের জিএস প্রার্থী আল সাদী ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হলে ক্যাম্পাসে সব ছাত্র সংগঠন, ধর্মীয় ও জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারবে। তাদের প্রধান সামাজিক উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ছুটি দেওয়া হবে।’

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, ‘ডাকসুর লিডারের এমন ক্যাপাসিটি থাকতে হবে যেন তিনি বাইরের অ্যালামনাইদের মোটিভেট করেও অনেক কিছু করতে পারবেন। আমাদের একটা লিগ্যাল টিম করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদেরকে দিবেন আমরা নিজেই ওই একাউন্টের বিরুদ্ধে লিগ্যাল একশনে যাব এবং একাউন্টের মালিককে গ্রেফতার করতে হেল্প করব। আমরা এসব করিনা বরং আমাদের ওপর অন্যরা দোষ চাপিয়ে দিতেই এসব করা হয়।’

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম বলেন, ‘পনাদের ওপর ভরসা রেখে আমি অলরেডি আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার পর ১০০ দিনের পরিকল্পনা জানিয়েছি। ভিন্ন পথের, ভিন্ন মতের মানুষকে নিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয় আমরা এটার প্রমাণ দিচ্ছি । এক প্রার্থীকে নিয়ে রিট করা হয়েছিল। আমি এটার প্রতিবাদ করেছি। বলেছিলাম রিট যদি করতেই হয় আরও পূর্বে করা উচিত ছিল, নির্বাচনের সাত দিন আগে করা উচিত হয়নি।’