আবাসিকে গ্যাস সরবরাহ সীমিত থাকবে রমজানে

প্রতীকী ছবি

রমজান, সেচ মৌসুম ও গ্রীষ্মকালে গ্যাস উৎপাদন, আমদানি ও বরাদ্দ বিবেচনায় নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন-পেট্রোবাংলা। বিবেচ্য বিষয়ের মধ্যে বলা হয়, বিদ্যুৎ এবং শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে আবাসিক শ্রেণিতে গ্যাস সরবরাহ সীমিত রাখা হবে। তবে অনেক দিন ধরেই ঢাকার আবাসিক গ্রাহকেরা চুলা জ্বালাতে গ্যাসসংকটে ভুগছেন।

আজ বৃহস্পতিবার গ্যাস সরবরাহে বিবেচ্য বিষয়ের একটি তালিকা দিয়েছে পেট্রোবাংলা। এর আগে গত বুধবার এ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তালিকায় আরও বলা হয়, সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার মৌসুমে সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ সীমিত রাখতে হবে। সিএনজি স্টেশন দিনে পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ রাখার বিষয়টি নজরদারি করতে হবে।

পেট্রোবাংলা বলছে, দেশে এখন দিনে গ্যাসের চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় ৩০০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে দেশীয় উৎস থেকে আসে ২২৫ থেকে ২৩০ কোটি ঘনফুট। আর বাকিটা এলএনজি আমদানি করে মেটানো হয়। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় নিয়মিতই এক খাতে কমিয়ে আরেক খাতে সরবরাহ বাড়ানোর কাজটি করতে হয়। এতে আবাসিক গ্রাহকেরা দিনের বড় একটা সময় গ্যাস পান না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন ও মাইনস) মো. কামরুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ ও শিল্পে সরবরাহ বাড়ানোর সময় শহরে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এতে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের চাপ কমবে। আবাসিক খাতের পরিস্থিতি এখনকার মতোই থাকবে। কিছু কিছু সময় একটু সমস্যা হতে পারে।

বিবেচ্য বিষয়ের তালিকায় দেশীয় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান জোরদার, জ্বালানি-দক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এবং প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে গ্যাস সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।