সাপ দেখলে মায়া লাগে

সোহরাব হোসেন: তেমন একটা না। বিষাক্ত সাপে একটু ভয় লাগে। তারপরও চেষ্টা করি মানুষের উপকার করার।

সোহরাব: আমি গ্রামের ছেলে। বিষহীন সাপ ধরার অভিজ্ঞতা ছোটবেলায় হয়েছে। বড় হয়ে টেলিভিশনে সাপ ধরার অনুষ্ঠান দেখেছি। ইউটিউব ও ফেসবুকে সাপ নিয়ে অনুষ্ঠান দেখেছি। বিভিন্ন লেখা পড়েছি। কোন সাপ বিষধর, কোন সাপ বিষহীন—এসব জেনেছি।

সোহরাব: সাত-আট বছর হবে সাপ ধরছি। শুরুতে ছোটখাটো সাপ ধরতাম। পরে বিষধর সাপও ধরা শুরু করি।

সোহরাব: ৫০-৬০টি হবে।

সোহরাব: জঙ্গল, জনমানবহীন জায়গা অথবা খালের পাশে ছেড়ে দিই। মানুষকে বলি কেউ যাতে সাপ না মারে।

সোহরাব: একটি বলি, ৮-৯ মাস আগে একবার খবর পেলাম, আমার এলাকা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে এক বাসায় বড় একটা সাপ ধরা পড়েছে। গিয়ে দেখি, সেটাকে মানুষ মেরে আহত করে ফেলেছে। আমি সাপটাকে আরেকজনের সহযোগিতায় ফেটে যাওয়া জায়গাটি সেলাই করে ছেড়ে দিই।

সোহরাব: মানুষ ভয় পায়। মেরে ফেলতে চায়। কিন্তু সাপ দেখলে আমার মায়া লাগে। আমি মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করি। শঙ্খিনী নামে একটা সাপ নিয়ে মানুষের নানা কুসংস্কার আছে। মানুষকে বোঝাই যেন সাপটি না মারে। ফেসবুকেও লাইভ করি সচেতন করার জন্য।

সোহরাব: সাপুড়ে এলাকায় নেই।

সোহরাব: আমি কেব্‌ল নেটওয়ার্কের (ডিশ) ব্যবসা করি।

সোহরাব: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলাম। শেষ করতে পারিনি।

সোহরাব: মা, স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে।

সোহরাব: শুরুতে কিছুটা অপছন্দ করত। তাদের বুঝিয়েছি।

সোহরাব: এলাকার মানুষ পছন্দ করে। তাদের কাছে আমার মোবাইল নম্বর আছে। কেউ যদি বিপদে পড়ে, তখন আমাকে খবর দেয়।

সোহরাব: প্রথম দিকে আমাদের গ্রাম থেকেই ডাক আসত। এখন বিভিন্ন এলাকায় আমার নাম ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব জায়গা থেকেও ডাক পাই।

সোহরাব: অবশ্যই। আমি এ কাজটা পছন্দ করে করি। আরও শিখতে চাই।

সোহরাব: নেই। আমি অনেক জায়গায় খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি।