বিষয়টি পরীক্ষা করে সংশোধন বা বাতিল হবে: জনপ্রশাসন সচিব

প্রতীকী ছবি

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেছেন তাঁর মন্ত্রণালয়ের বইয়ের তালিকায় একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকার বিষয়টি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে তা সংশোধন বা বাতিল করা হবে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জন্য এই বইয়ের তালিকা করা হয়েছে।

আজ রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কে এম আলী আজম এ কথা  বলেন।

গতকাল শনিবার প্রথম আলোয় ‘বই কেনার তালিকায় এক অতিরিক্ত সচিবের ২৯ বই’ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস’ বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি উদ্যোগের প্রসঙ্গ উঠে আসে।

ওই উদ্যোগের আওতায় জেলা-উপজেলায় বই কিনতে ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে পাঠানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের তালিকা। তালিকার মধ্যে একজন অতিরিক্ত সচিবেরই রয়েছে ২৯টি বই। তালিকার ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের মধ্যে শতাধিক বই অন্তত ২৫ জন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার লেখা। যার মধ্যে অনেক বইয়ের প্রসঙ্গ একই।

আরও পড়ুন

এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেন, পরীক্ষা করে যদি সত্যতা প্রমাণিত হয় বা কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তালিকা সংশোধন বা বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে আগামীকাল সোমবার বৈঠকে বসবেন বলেও জানান তিনি।

ওই তালিকায় একজন অতিরিক্ত সচিবেরই ২৯টি বই থাকার বিষয়টি জানতেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, একজনের ২৯টি বই থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর অবহিত হয়েছেন। এখন আগামীকাল সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। পাঠাগার নির্মাণে যেটি কল্যাণকর হবে এবং নৈতিকতার প্রশ্নে যেটি উচিত হবে, সেটাই করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জনপ্রশাসন সচিব আরও বলেন, উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী চার বছর ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে পাঠাগার করা হচ্ছে। এখন এই কার্যালয় (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) থেকে ১ হাজার ৪০০ বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এমন নয় যে এই তালিকা থেকে কিনতে হবে। এটির আলোকে বা বিবেচনায় রেখে কিনতে বলা হয়েছে ।