প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় ইউপি সদস্য, চৌকিদারসহ গ্রেপ্তার ৩

ধর্ষণপ্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নে ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন (৪০), গ্রাম পুলিশ মো. আব্বাস (৫০) ও মো. ফরহাদ (২২)। আজ সোমবার আসামিদের নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, গতকাল রোববার নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর (১৮) মা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় ওই মামলা করেন।

ভুক্তভোগী তরুণী আংশিক বাক্‌ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। মামলার এজাহারে তরুণীর মা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফরহাদ তাঁর মেয়েকে ডেকে পাশের বাড়ির নির্মাণাধীন পাকা ভবনের সিঁড়ির কক্ষে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

ঘটনাটি কাউকে বলতে নিষেধ করেন। তাঁর মেয়ে প্রথমে ঘটনাটি কাউকে জানাননি। পরদিন শুক্রবার একই সময় ও একই স্থানে আবার ডাকলে প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ফরহাদকে আটক করেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ও ইউপি সদস্যকে জানিয়ে ফরহাদকে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ ফরহাদকে থানায় সোপর্দ না করে টাকার বিনিময়ে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, নির্যাতনের শিকার তরুণীর মায়ের অভিযোগ পাওয়া পরপরই থানা-পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফরহাদ এবং তাঁকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।