সুন্দরবনের মধু ও গোলপাতার জিআই স্বীকৃতি চাইলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম, ১৪ ফেব্রুয়ারিছবি: প্রথম আলো

সুন্দরবনের মধু ও গোলপাতাকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সুন্দরবন-সংলগ্ন পাঁচ জেলার শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এ দাবি জানান তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে দুপুর সাড়ে ১২টায় এ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ম্যানগ্রোভ ইউনিফিকেশন’ নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এ সংগঠনে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, খুলনা ও বরগুনা জেলার শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। সমাবেশের আগে এসব শিক্ষার্থী ‘সুন্দরবনকে ভালোবাসি, সবাই মিলে ভালো থাকি; আমাদের বন, আমাদের সম্পদ’ স্লোগানে শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়।

বাগেরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ আল জোবায়ের বলেন, ‘সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের কাজের পরিধি বাড়াতে হবে। সুন্দরবন সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে হবে। পর্যটকেরা যেভাবে প্লাস্টিক দূষণ করেন, সেটি বন্ধ করতে হবে। সুন্দরবনের অন্তত ১০ কিলোমিটার আশপাশে যেন কোনো ধরনের শিল্প–কলকারখানা না গড়ে ওঠে, সে বিষয়ে কঠোর হতে হবে।’

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি সাঈদ হাসান বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করতে দেওয়া যাবে না। বিশ্বের অনেক প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী শুধু সুন্দরবনকে আঁকড়ে ধরে টিকে আছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের মধু ও গোলপাতার সুনাম পুরো বিশ্বে রয়েছে। এ দুটি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। সরকারকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

সমাবেশে আবদুল্লাহ আল জোবায়েরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি কে এম ওয়াহিদ জামান, সাধারণ সম্পাদক শাহীন হোসেন, খুলনা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াছিউর রহমান, বরগুনা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম প্রমুখ।