বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে: মেয়র তাপস

রাজধানীর ‘বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’–এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস
ছবি: সংগৃহীত

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বর্তমান যুগে এগিয়ে যেতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার ওপর জোর দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এ খাতে আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

আজ শনিবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) কার্যালয়ে আয়োজিত ‘বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’–এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে এগিয়ে যেতে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকল্প দিয়েছেন। আমাদের যে টেকসই অভীষ্ট রয়েছে, সেখানে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সে জন্য আমাদের শিক্ষানীতির আলোকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কারণ, প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব।’

শেখ হাসিনার আগে এ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় কেউ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেননি দাবি করে মেয়র তাপস বলেন, ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী এই খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়ন ছাড়া কখনো একটি দেশ উন্নত হতে পারে না। সে লক্ষ্যে সরকার বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে এবং করে চলেছে। প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসবেন বলে বিশ্বাস।

বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শোয়েব এবং শিশু স্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশনের অনুজীব বিজ্ঞানী ও পরিচালক সেঁজুতি সাহা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ক (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি), খ (৯ম-১০ম শ্রেণি), গ (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) ও ঘ (স্বশিক্ষিত) ক্যাটাগরিতে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অধিকারী ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলা ২০২৪ শুরু হয়। এবারের আয়োজনে ২০২টি প্রকল্প জমা পড়ে। এর মধ্যে ৭৭টি প্রকল্প প্রদর্শনীতে স্থান পায়।