মেট্রোরেলে দৃষ্টিকটুভাবে বিজ্ঞাপন, তদন্তে কমিটি
ঢাকার মেট্রোরেলে দৃষ্টিকটুভাবে বিজ্ঞাপন লাগানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, মেট্রোরেল কাঠামোর স্টেশন ও ট্রেনে বিজ্ঞাপন থাকবে। তবে সেটা নির্ধারিত ও বরাদ্দকৃত জায়গার বাইরে লাগানো হয়েছে কি না, সেটা তদন্ত করা হবে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ডিএমটিসিএলের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) খোন্দকার এহতেশামুল কবীরকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কতটুকু জায়গায় বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছে, কতটুকু বরাদ্দ ছিল, তা খতিয়ে দেখবে।
এম এ এন সিদ্দিক আরও বলেন, সব দেশেই মেট্রোরেলের আয় বাড়াতে বিজ্ঞাপন থাকে, বাংলাদেশেও থাকবে।
ঢাকার উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এখন মেট্রোরেল চলছে। এই মেট্রোরেল কাঠামোর ট্রেনের ভেতরে দৃষ্টিকটুভাবে বিজ্ঞাপনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। কেউ কেউ মেট্রোরেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করেন। কেউ কেউ এভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন।
এমন পরিস্থিতিতে আজ কমিটি গঠনের খবর জানা গেল।
অবশ্য ডিএমটিসিএলের ওয়েবসাইটে গত ৪ জুনের একটি দরপত্র বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। সেখানে মেট্রোরেলের অভ্যন্তরে বিজ্ঞাপনের দরপত্র প্রস্তাব আহ্বান করা হয়।
এতে বলা হয়, উত্তরা-মতিঝিল পথে চলাচলকারী এমআরটি লাইন-৬-এর ২৪ সেট মেট্রোরেলের ভেতরে নির্ধারিত আলোকিত ও অনালোকিত বিজ্ঞাপনের জায়গা ভাড়া দেওয়া হবে।
প্রতি সেট ট্রেনের ভেতরে ৬০টি আলোকিত মনিটর (মোট ৩ দশমিক ৩১৭ বর্গমিটার জায়গা) হিসাবে ২৪ সেট ট্রেনে মোট ৭৯ দশমিক ৬১ বর্গমিটার জায়গা ভাড়া নিতে পারবেন আগ্রহীরা।
এ ছাড়া প্রতি সেট মেট্রোরেলের ভেতরে প্রায় ৪৬৪ অনালোকিত জায়গা (একেকটিতে সাড়ে ৩২ বর্গমিটার) হিসাবে ২৪ সেট ট্রেনে ৩ হাজার ১৮০ বর্গমিটার জায়গা ইজারা দেওয়া হবে।
মেট্রোরেল স্টেশনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার একটি দরপত্র ডাকা হয় গত ২৮ আগস্ট।
ঢাকার উত্তরা থেকে ফার্মগেট পথে নিয়মিত যাতায়াত করেন মো. রফিউদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এখনো মেট্রো ট্রেনে বিজ্ঞাপন দেখিনি। তবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে যেভাবে বিজ্ঞাপন লাগাতে দেখেছি, তা দৃষ্টিকটু।’