দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ একটি পর্যায় পর্যন্ত গিয়ে থমকে যায়: মেনন
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দুর্নীতি বন্ধ না হলে উন্নয়ন টেকসই হবে না। কিন্তু দেশে দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ একটি পর্যায় পর্যন্ত গিয়ে থমকে যায়।
সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলের নেতা মেনন বলেন, ‘দুর্নীতি উন্নয়নের অনুষঙ্গ। কিন্তু যেসব দেশ উন্নয়নের পথে রয়েছে, তারা দুর্নীতি নিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। চীন তার পার্টির দেড় লাখ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে। যার মধ্যে পলিটব্যুরোর সদস্যও রয়েছেন। ভিয়েতনাম তার উপপ্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে। কিন্তু আমরা মন্ত্রী-আমলাদের ক্ষেত্রে কি পেরেছি? পারি নাই।’
খেলাপি ঋণ ও অর্থ পাচার নিয়ে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমি আজ আর খেলাপি ঋণ ও অর্থ পাচার নিয়ে বিশেষ কথা বলব না। এ নিয়ে সংসদে অনেক কথা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভাবখানা এমন যে, “বকো আর ঝকো কানে দিয়েছি তুলো, মারো আর ধরো পিঠে বেঁধেছি কুলো।’’’
রাশেদ খান মেনন বলেন, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে বহু আলোচনা হয়েছে। তিনি তার পুনরাবৃত্তি করতে চান না। কারণ, এতে সরকার কেবল অস্বস্তিবোধ করে না, রাগান্বিতও হয়। এটা ঠিক যে এই সরকার শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে; কিন্তু তার অর্থ এ নিয়ে কোনো জবাবদিহি চাওয়া যাবে না। সর্বশেষ সরকার বিদ্যুৎ আইনের যে সংশোধনী এনেছে, তা এ ক্ষেত্রে জনগণের প্রশ্নের অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সমালোচনা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপির ২৭ দফায় যে রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে, তা কার্যত রাষ্ট্রকে অবৈধ পঞ্চম সংশোধনীকালে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রয়াসমাত্র। তাদের ‘রেইনবো নেশন’–এর অর্থ স্বাধীনতা ও স্বাধীনতাবিরোধীদের এক কাতারে দাঁড় করানো। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়কে রদ করা।