কোনো জায়গায় মবের ঘটনা ঘটলে নানাভাবে রাজনৈতিকীকরণ করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।
বিগত ১৫ বছরে পুলিশে রাজনৈতিকীকরণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আরিফুল ইসলাম। এ থেকে বেরিয়ে পুলিশের পেশাগত মান উন্নত করতে হবে বলেন তিনি।
'বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন আরিফুল ইসলাম আদীব। আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
যৌথভাবে গোলটেবিলের আয়োজন করে প্রথম আলো ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কল্যাণ সমিতি। বৈঠকের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
মব নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের সময় উদাহরণ তুলে ধরেন আরিফুল ইসলাম। মবের ঘটনাগুলো এককভাবে কোনো দল করছে না বলেন আরিফুল ইসলাম।
এনসিপির এই নেতা বলেন, 'প্রথমদিকে যখন কোনো গণমাধ্যমে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভ্যুত্থানের পর কারও চাকরি চলে যেত কিংবা কাউকে প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ করতে হতো কিংবা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পরিবর্তন করা হতো, তখন এটা ধরে নেওয়া হতো যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ করছে।' এসব ক্ষেত্রে কখনো কখনো স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রভাব বিস্তার করেছেন বলেন তিনি।
এখন মবের ঘটনার কারণ হিসেবে এনসিপির এই নেতা বলেন, 'প্রথমত হচ্ছে বিষয়টি এই যে সে (পুলিশ) সঠিক দায়িত্বটা পালন করবে, এটা হচ্ছে তার ওপর একটা অনাস্থা চলে আসে, যে না সে মনে হয় দায়িত্বটা পালন করবে না। আবার এই পুরো বাহিনীর একেবারে একটা অধিকাংশই ক্ষেত্রে দলীয়করণ করা হয়েছে। তখন সে চিন্তা করে যে সে তার বাহিনীকে হয়তো রক্ষা করার চেষ্টা করতেছে।'
শুরুতে 'বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়' নিয়ে একটি প্রবন্ধ তুলে ধরেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (অবসরপ্রাপ্ত) ও বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ইয়াসমিন গফুর।
গোলটেবিলে অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম আকবর আলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান।
এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কাজী মো. ফজলুল করীম এ বৈঠকে অংশ নেন।