আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর নোটারি পাবলিকের ঘোষণার মাধ্যমে ফটিকছড়ির ভুজপুর থানা এলাকার আসমা আক্তার নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন আলী আকবর। প্রথম স্ত্রী থাকার তথ্য গোপন করে ওই তরুণীকে বিয়ে করেন তিনি। পরে ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি আসমাকে বাদুরখিল গ্রামের একটি খামারবাড়িতে আটকে রাখেন। টানা আট দিন তাঁকে ওই ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন তিনি। ২০ জানুয়ারি আসমাকে হত্যা করে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন। স্থানীয় লোকজন ঝুলন্ত তরুণীকে দেখতে পেয়ে ভুজপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।

ওই দিন তৎকালীন উপপরিদর্শক সালাউদ্দিন এ ঘটনায় ভুজপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। পরে ময়নাতদন্তে ওই তরুণীকে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। পুলিশ মামলা তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আসামি ওই তরুণীকে বিয়ে করলেও তা নিবন্ধন করেননি। এ ছাড়া নোটারি পাবলিকের বিয়ের ঘোষণাটিও মিথ্যা ছিল। সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় দেন আদালত।