ভিসা নীতি তাদের ব্যাপার, আমাদের কিছু বলার নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
ছবি: প্রথম আলো

মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত কাকে নিষিদ্ধ করেছে, সেগুলো আমরা জানি না। যেহেতু জানি না, সুতরাং সেখানে আমার মন্তব্য করার এখতিয়ার নেই। আর ভিসা নীতি তাদের ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে কাকে যেতে দেবেন, কাকে দেবেন না, এটি তাদের ব্যাপার। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই, মন্তব্য নেই।’

আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘ভিসা নীতি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ঘোষণা করছেন, আমরা শুনেছি। আমাদের চিঠির মাধ্যমে তারা জানায়নি। কাজেই আমরা যেটি শুনেছি, সেটিই জানি, আপনারা যেটুকু শুনেছেন।’

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের কিছু সদস্যের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গত শুক্রবার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করার ঘোষণা দেওয়ার পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানায়। এ নিয়ে দুই দিন ধরেই দেশে নানা আলোচনা চলছে। এসব নিয়েই সাংবাদিকেরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন।

এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান, বলা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও আছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, তাঁর কাছে সেই ধরনের কোনো তালিকা আসেনি, কোনো পত্র আসেনি, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম রয়েছে। পেলে দেখা যাবে কী করা যায়।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য আবেদনসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া একটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দণ্ড স্থগিত করে বাসায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি দেশের একটি উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। দণ্ড স্থগিতের সীমা তাঁদের (খালেদা জিয়ার পরিবারের) আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে সব সময় (ছয় মাস পরপর) বাড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয় যদি মনে করে সেটি আদালতে পাঠানো দরকার, তাহলে আদালতে পাঠাবে। আর যদি মনে করে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছুটা করতে পারেন, যেটা এখন পর্যন্ত চলছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে প্রসঙ্গটি (চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি) বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে আইনগত জটিলতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। সেখানে হয়তো আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হতে পারে। এটি আইনমন্ত্রী ভালো জানেন। সে ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনের বাইরে কিছু করতে পারবে না।