আদালত
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় জামিননামা কারাগারে এসে পৌঁছালেও মুক্তি পাচ্ছেন না মুফতি হারুন ইজাহার। আরও মামলা থাকায় তাঁকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

হারুন ইজাহার হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মঞ্জুর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় জামিননামা কারাগারে আসে। কিন্তু ঢাকার কয়েকটি মামলায় হারুন ইজাহারকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে।

হারুন ইজাহারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় হাইকোর্ট থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে জামিন পেয়েছেন হারুন। আদেশে চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাসপোর্ট জমাসহ বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হয়। সব শর্ত পূরণের পর জামিননামা কারাগারে পৌঁছেছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় হাইকোর্ট থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে জামিন পেয়েছেন হারুন। আদেশে চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাসপোর্ট জমাসহ বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হয়। সব শর্ত পূরণের পর জামিননামা কারাগারে পৌঁছেছে।
কফিল উদ্দিন, আইনজীবী

২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে হারুন ইজাহারকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ওই সময় র‍্যাব কর্মকর্তারা বলেছিলেন, হাটহাজারী থানা ভবন, ভূমি অফিস, ডাকবাংলোতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার ‘মদদদাতা’ ছিলেন হারুন ইজাহার।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরবিরোধী কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ জুমার নামাজের পর ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে হাটহাজারী ও পটিয়ায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

পরে ৪ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করে পটিয়া ও হাটহাজারী থানায় হামলা, ভূমি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িত থাকার অভিযোগে করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাতটি মামলা হয়। একই বছরের ২২ এপ্রিল হেফাজতের নেতা–কর্মীদের আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা করে হাটহাজারী থানা-পুলিশ। এর মধ্যে দুই মামলায় হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকে আসামি করা হয়। এ তিন মামলায় আসামি করা হয় তিন হাজার জনকে।

হারুন ইজাহার বিস্ফোরক মামলায়ও ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার হন। পরে জামিনে মুক্তি পান। ওই মামলায় তাঁর বাবা মুফতি ইজাহারও আসামি। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।