চট্টগ্রামে আ জ ম নাছিরের অনুসারীদের সভায় হামলা

চট্টগ্রামের নন্দনকাননে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যুবলীগের এক নেতার অনুসারীরা ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগরের নন্দনকাননে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে তিনি আসার আগেই সেখানে হামলা হয়। হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্য আহত হয়েছেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার ওমরগনি এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগের প্রয়াত সদস্য নূর আহমেদ ওরফে রাসেলের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। এ উপলক্ষে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শুরুর পর মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন কিছু যুবক। তাঁরা যুবলীগের এক নেতার অনুসারী বলে জানা গেছে।

আকস্মিক এ হামলা চালিয়ে চেয়ার দিয়ে মেরে একজনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আহত মো. ইদ্রিস স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তাঁর মাথা থেকে রক্ত ঝরেছে। তিনি প্রথম আলোকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, দেলোয়ার হোসেন নামের এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন যুবক মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। আ জ ম নাছিরকে প্রধান অতিথি করায় এই হামলা হতে পারে।

হামলায় আহত হন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. ইদ্রিস
ছবি: প্রথম আলো

অভিযুক্ত দেলোয়ার যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবরের অনুসারী বলে জানা গেছে। নন্দনকানন এলাকায় বাবরের আধিপত্য আছে। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নন্দনকাননের ১ নম্বর গলির শেষ মাথায় মঞ্চ করে সভার আয়োজন চলছিল। দোয়া মাহফিলের পাশাপাশি দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু হামলাকারীরা চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুর করায় পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।

ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) সুকান্ত চৌধুরী বলেন, ‘বিকেলে একটি দোয়া মাহফিল ছিল। এতে আ জ ম নাছির সাহেবের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এখানে দুই পক্ষের নেতারাই ছিলেন। সভা শুরুর আগে অতর্কিত হামলা হয়। আমরা একজনকে আটক করেছি।’

হামলার বিষয়ে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও দেলোয়ারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এক যুবলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এলাকার আধিপত্য নিয়ে ঝামেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।