প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফরে বেশ কয়েকটি ঋণ-অনুদান চুক্তি সই হতে পারে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাঁর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন । ঢাকা, ২২ অক্টোবর
ছবি: প্রথম আলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের প্রথম সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী মঙ্গলবার ব্রাসেলস সফরে যাচ্ছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইয়েনের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই সফরে বেশ কয়েকটি ঋণ ও অনুদান চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাঁর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাপী স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ ডিজিটাল প্রযুক্তি; জ্বালানি, পরিবহন খাতে অবকাঠামো নির্মাণ এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গবেষণাব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২১ সালের ডিসেম্বরে গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের ঘোষণা দেয়। এ উদ্যোগের আওতায় ইইউ, সদস্যরাষ্ট্র ও অন্য অংশীদারেরা অগ্রাধিকারমূলক খাতগুলোতে ২০২১-২৭ সালের মধ্যে মোট ৩০ হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাসেলস সফরে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইয়েনের পাশাপাশি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্দার দে ক্রো ও লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী শাভিয়ে বেটেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইইউ তাদের ৫০ বছরের অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা যায়।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫ কোটি ইউরোর একটি ঋণসহায়তা চুক্তি সই হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে এই চুক্তি হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অনুদান হিসেবে সাড়ে ৪ কোটি ইউরো পেতে একটি চুক্তি এবং বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে ১ দশমিক ২ কোটি ইউরোর একটি অনুদান চুক্তি সই হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক ইতিমধ্যে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। ঋণ চুক্তিটি বাংলাদেশে ব্যাংকটির অধিকতর বিনিয়োগের পথ প্রসারিত করবে বলে আশা করা যায়। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের সময় বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে বাংলাদেশের সামাজিক খাতের জন্য সাত কোটি ইউরোর পাঁচটি আলাদা অনুদান চুক্তি সই হবে।