আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক রেইনফরেস্ট: শুধু বাড়ি নয়, যেন এক সবুজের ক্যানভাস

প্রশস্ত বারান্দা, মাথার ওপর অনন্য শৈলীর ছাদ, চারদিকে গাছপালা, বাসার সামনে ছোট্ট একটা বাগান—শহরের মধ্যে এ যেন নিজের একটা বাংলো বাড়ি। সঙ্গে যদি যোগ হয় নান্দনিক স্থাপত্য আর আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা, তাহলে তো কথাই নেই।

শুনতে স্বপ্নের মতো মনে হলেও এটাকেই বাস্তব করে তুলেছে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক। উচ্চবিত্তদের কথা মাথায় রেখে বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে স্থপতি রফিক আজমের নকশায় এই স্বপ্নেরই বাস্তব রূপ দেওয়া হয়েছে ‘আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক রেইনফরেস্ট’ নির্মাণের মাধ্যমে।  

নিখুঁত ও নান্দনিক ডিজাইনে নিরাপদ স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি পেশাদারত্ব, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ও উন্নত গ্রাহকসেবা দিয়ে ক্রেতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে দেশের খ্যাতনামা রিয়েল এস্টেট কোম্পানি আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক।

ইউনিক ডিজাইন, নিজস্ব নির্মাণ উপকরণ, উন্নত মান, নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী নির্মাণ এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিতের পাশাপাশি সঠিক সময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক। ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’ মেনে ভূমিকম্পসহ দুর্যোগ মোকাবিলার উপযোগী ভবন নির্মাণে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের অনন্য।

কী আছে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক রেইনফরেস্টে

নান্দনিক, সৃজনশীল এবং ভবনে বসবাসকারীদের চাহিদা, রুচি আর সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখেই স্থপতিরা নকশা তৈরি করেন। আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক রেইনফরেস্টের নকশা থেকে শুরু করে নির্মাণ পর্যন্ত এই বিষয়গুলোকেই প্রাধান্য দিয়েছেন স্থপতি রফিক আজম। তাঁর কথায়, ‘রেইনফরেস্টের প্রতি পরতে পরতে আপনি খুঁজে পাবেন সবুজের ছোঁয়া। অসংখ্য গাছগাছালি, সবুজ বাগান মিলিয়ে রেইনফরেস্ট এখানকার বসবাসকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবে প্রকৃতির মধ্যে থাকার একটা আবহ। শহুরে জীবনে ঘুম থেকে উঠে জানালা খুললেই দৃষ্টিজুড়ে যেখানে অনেক দালানকোঠা, ব্যস্ত রাস্তাসহ নগরজীবনের প্রতিচ্ছবি সামনে এসে হাজির হয়, রেইনফরেস্ট সেই একঘেয়ে দৃশ্য থেকে এখানকার বাসিন্দাদের একদমই আলাদা করে রাখবে। এই প্রকল্পটি হলো প্রযুক্তিজ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে নান্দনিকতা, শৌখিনতা ও সৃজনশীলতার প্রতিফলন।’

মূলত রেইনফরেস্ট বা অতিবৃষ্টি অরণ্য হচ্ছে পৃথিবীর সেসব বনাঞ্চল, যেখানে সারা বছর প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়। আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক রেইনফরেস্ট যেন তারই প্রতিচ্ছবি। সবুজের আবহে এখানে বৃষ্টি যেন এক ইচ্ছেঘুড়ি। চাইলেই টুপ করে নেমে পড়বে!

বিশেষ সুযোগ-সুবিধা

৫০ ফিট প্রশস্ত রাস্তা থেকে রেইনফরেস্টে ঢুকলেই সবুজে ডুব দেওয়ার অনুভূতি হবে যে কারও। অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ভেতরে যেতে যেতে মনে হবে এ যেন এক স্বর্গোদ্যানে ঢুকে পড়া। গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকছে না গতানুগতিক পার্কিং এরিয়া। দৃষ্টিনন্দন অভ্যর্থনা এলাকা রেইনফরেস্টে আগতদের স্বাগত জানাবে হাসিমুখে। নিচতলায় অপেক্ষমাণ অতিথিদের জন্য আছে আলাদা লাউঞ্জ এবং লাইব্রেরি। যে কেউ অপেক্ষার পুরো সময়টা কাটিয়ে দিতে পারবেন বই পড়ে।

আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক রেইনফরেস্ট তার বাসিন্দাদের জন্য নিজেকে সমৃদ্ধ করেছে আধুনিক সভ্যতার সব রকমের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। শরীরচর্চার সব রকমের আধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ জিমনেসিয়াম ছাড়াও রয়েছে মনোরম ওয়াটারবডি, পুল ক্লাব, রুফটপ বারবিকিউ শেড ফ্যাসিলিটি।  

মোট ৮.২৫ কাঠার ওপর নির্মিত ১০টি ফ্লোরসমৃদ্ধ রেইনফরেস্টে ৩,৩২০ এবং ৩,৫৬২ স্কয়ারফিট আয়তনের ফ্ল্যাট রয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সব টাইলস এবং ফিটিংস দিয়ে পুরো ভবনটিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

‘আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক রেইনফরেস্টে’র নকশা প্রস্তুত করতে গিয়ে স্থপতি রফিক আজম নিরাপত্তার বিষয়টিকেও সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছেন। অভ্যর্থনাকক্ষ পার হয়ে লিফট অভিমুখে যেতে যে কাউকেই বায়োমেট্রিক ডোর এক্সেস সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। নিরাপত্তার জন্য প্রহরী আর সেন্ট্রাল সিসি ক্যামেরা তো থাকছেই।

এ ছাড়া থাকছে ড্রাইভার এবং কেয়ারটেকারদের অপেক্ষার জন্য আলাদা লাউঞ্জ, ভিডিও ইন্টারকম ফ্যাসিলিটি, আধুনিক গার্বেজ ম্যানেজমেন্ট, ফায়ার হাইড্রেন্ট এবং এক্সটিংগুইসার সিস্টেম, ফুল ব্যাকআপসমৃদ্ধ উচ্চক্ষমতাশীল জেনারেটরসহ অনেক কিছুই।

এককথায় বলা যায়, ‘আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক রেইনফরেস্ট’ মানেই ইট-কাঠের যান্ত্রিক শহরে নিশ্চিন্ত আর নির্ভাবনার এক সুখময় আবাস এবং আপনার অনুভূতির গল্প, আস্থা ও ভালোবাসার পরশে মাখা একটি বাসস্থান, যেখানে বাস্তবে রূপ নেবে আপনার একেকটি সুখময় স্বপ্ন।