একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে গণমাধ্যমকে প্রতিপক্ষ বানাতে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে: বিএসআরএফ

বিবৃতিপ্রতীকী ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির প্রাণ হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে গণমাধ্যমকে প্রতিপক্ষ বানাতে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)। বর্তমান সরকারের সময় এ হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক, মর্মান্তিক এবং ন্যক্বারজনক বলেও মন্তব্য তাদের।

শুক্রবার বিএসআরএফের সভাপতি মাসউদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল এক যৌথ বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেছেন।

দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদির প্রাণ হারানোর ঘটনায় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে এ দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজ সম্পাদক, প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীরও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো সংবাদমাধ্যম। সেই গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

বিএসআরএফ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপরে হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয় এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে।