‘অসদাচরণের’ জন্য বিটিসিএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাময়িক বরখাস্ত

‘অসদাচরণের’ জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। আসাদুজ্জামান চৌধুরী টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাব্যবস্থাপকের (প্রকৌশল) দায়িত্বে ছিলেন।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অসৎ উদ্দেশ্যে একটি প্রকল্পের দরপত্র বিধিবহির্ভূতভাবে বাতিল করেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী। যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’। যা দণ্ডযোগ্য অপরাধ। এ জন্য তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি বিধিমোতাবেক খোরপোশ ভাতা পাবেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিটিসিএলের অধীন বাস্তবায়নাধীন ‘ফাইভ–জির উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের একটি প্যাকেজের বিপরীতে আহ্বান করা দরপত্রে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। গণ খাতে ক্রয়বিধি (পিপিআর) অনুসরণ করে সাত সদস্যের মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়। মূল্যায়ন কমিটি প্রাথমিক মূল্যায়নে এবং কারিগরি মূল্যায়নেও তিনটি দরপত্রকে যোগ্য (রেসপনসিভ) বলে সুপারিশ করে। চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন গত এপ্রিলে প্রকল্প কার্যালয় প্রধান (হোপ) বরাবর পাঠানো হয়। আসাদুজ্জামান চৌধুরী বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) তথা হোপের দায়িত্বে ছিলেন। বিটিসিএলের ২১৩তম বোর্ড সভায় তিনি নিজে দুটি দরপত্রকে যোগ্য (রেসপনসিভ) বলে সভাকে অবহিত করেন। কিন্তু কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির থেকে পাওয়া ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে তিনি সব দরপত্র বাতিল করে পিপিআরে বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন; পরে (গত ১ জুন) পুনঃ দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত দেন। যা এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ। তিনি শুধু কারিগরি প্রতিবেদন অনুমোদনকারী এবং তিনি অর্থ বিভাগের আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ না হয়েও এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে দরপত্র বাতিল করেছেন।