যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ সাত দিনের রিমান্ডে

সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রোববার এই আদেশ দেন।

এর আগে পল্টন থানায় করা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পল্টন থানা–পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় জড়িত। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আবুল কালাম আজাদকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের দায়িত্ব পালন শেষে এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন আবুল কালাম আজাদ। গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি।

এই নির্বাচনের আগে গত বছর ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন সংঘর্ষে যুবদল নেতা শামীম মোল্লা নিহত হন। তাঁকে হত্যার অভিযোগে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৭০৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়।

আসামির তালিকায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ১১ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ৬১ জন নেতা রয়েছেন। এর বাইরে ছাত্রলীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কমিটির ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকসহ বাহিনীর ৪৬ কর্মকর্তাকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয় ঢাকার আদালতে। এর পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ২২২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৯০টি মামলায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। বেশির ভাগ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া তাঁর সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতা, পুলিশের সাবেক আইজিপি, ডিএমপির সাবেক কমিশনারসহ পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও কয়েকজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।