অভ্যন্তরীণ রুটে উড়োজাহাজের জ্বালানির দাম বাড়ল

দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করা উড়োজাহাজের জ্বালানি খরচ লিটারে ছয় টাকা বাড়িয়েছে সরকার। আজ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য বাংলাদেশি ক্রেতাদের প্রতি লিটার জেট এ-১ জ্বালানির জন্য ১১৮ টাকা করে দিতে হবে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন মূল্য কার্যকর হবে। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এর দাম ছিল ১১২ টাকা (এক লিটার)।

এমন মূল্যবৃদ্ধিকে অযৌক্তিক হিসেবে দেখছেন এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশের (এওএবি) মহাসচিব এম মফিজুর রহমান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানির দাম জানুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে প্রতি লিটারে ১২ টাকা কমানো হয়েছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এখনো ওই সময়ের মতোই আছে, ডলারের রেটও একই। এমন অবস্থায় প্রতি লিটার জ্বালানির দাম ছয় টাকা বাড়ানো অযৌক্তিক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এক লিটার জ্বালানির দাম ৭১ সেন্টস, বাংলাদেশে সেটি কিনতে হচ্ছে ১.১৫ সেন্টস দিয়ে, অর্থাৎ ৬৩ শতাংশ বেশি দামে।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশি বিমান সংস্থাগুলো দেউলিয়া হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে আশঙ্কা করে মফিজুর রহমান বলেন, জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে যাত্রীর ভাড়া বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে এমনিতেই সংকটে আছে দেশি বিমান সংস্থাগুলো। জ্বালানি তেলের উচ্চ দাম সেই সংকট আরও জটিল করবে।

এওএবির তথ্য অনুযায়ী, উড়োজাহাজ পরিচালনার ব্যয়ের প্রায় ৫০ শতাংশ জ্বালানির জন্য ব্যয় করতে হয়। তাই জ্বালানি তেলের মূল্য যৌক্তিক না হলে উড়োজাহাজ পরিচালনায় সমস্যা হয়।

জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে এওএবির আপত্তি দীর্ঘদিনের। জ্বালনি তেলের দাম নিয়ে গত ডিসেম্বর মাসেও বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিকে চিঠি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে বাংলাদেশেও বাড়ানো হয়, কিন্তু কমলে কমানো হয় না।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে জেট ফুয়েলের দাম ছিল প্রতি লিটার ৪৬ টাকা। পরে সেটি বাড়তে বাড়তে বর্তমান দামে পৌঁছেছে।