জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করল সোমালিয়ার জলদস্যুরা

‘গোল্ডেন হক’ নামের জাহাজটি বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। ২৩ নাবিক, ক্রুসহ জাহাজটি জিম্মি করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরাছবি: সংগৃহীত

২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। জলদস্যুরা আজ বুধবার যোগাযোগ করে বলে জাহাজের মালিকপক্ষ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করেছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।’

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, যোগাযোগ শুরু হওয়ায় এখন জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে। দর-কষাকষি করে সমঝোতায় পৌঁছালে জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তি মিলতে পারে।

আরও পড়ুন

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, যোগাযোগ শুরুর দিকটি ইতিবাচক। মালিকপক্ষ ও বিমাকারী প্রতিষ্ঠান জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে বলে তিনি আশা করছেন।

অবশ্য জলদস্যুদের যোগাযোগের আগেই মালিকপক্ষ সমঝোতার নানা প্রক্রিয়ার কাজ গুছিয়ে এনেছিল বলে সূত্র জানায়।

১২ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে জলদস্যুরা।

তিন দিনের মাথায় নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি গত শুক্রবার সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখে জলদস্যুরা।

আরও পড়ুন

প্রায় ১৩ বছর আগে একই কোম্পানির জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই করেছিল দস্যুরা। সেবার জলদস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে জাহাজসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে ১০০ দিন লেগেছিল।

এবার অবশ্য এত দিন সময় না–ও লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কারণ, হিসেবে তাঁরা বলছেন, আগেরবার বাংলাদেশের কোনো জাহাজ প্রথম ছিনতাই হয়েছিল। ফলে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ, দর-কষাকষির মতো বিষয়গুলো মালিকপক্ষসহ সবার জন্য নতুন ছিল। এতে সময় লেগেছিল অনেক। তবে এবার আগের অভিজ্ঞতা পুঁজি করে জাহাজ ছিনতাই হওয়ার পর মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে কাজ প্রায় গুছিয়ে নিয়ে আসে মালিকপক্ষ।

আরও পড়ুন