জিম্মি নাবিকদের শিগগিরই মুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদছবি: বাসস

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার করার ক্ষেত্রে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। শিগগির তাঁদের মুক্তির বিষয়ে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল, সেটি এই মুহূর্তে নেই।

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশা করছি শিগগির তাঁদের মুক্ত করতে পারব। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই যে সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত, যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত, তাদের (জলদস্যু) ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকেরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল, সেটি এই মুহূর্তে নেই।’

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি ও তাদের হামলায় আজ এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা শহরে এই গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটি দূর করতে সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যে দলেরই হোক, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ও হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে ও সারা বিশ্বে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এটি প্রচার হচ্ছে-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যাদের জন্মটাই অগণতান্ত্রিক আর প্রতিনিয়ত গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য অপচেষ্টা চালায়, সেই বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে, এটিই হচ্ছে দুঃখজনক। এটি যেন চোরের মায়ের বড় গলা।’

সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে রমজান আসার আগে ও রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সব সময় সক্রিয় হয়। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল ও অনেক পণ্যের দাম কমেছে।’