ড. ইউনূসের লিভ টু আপিলের শুনানি ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি

ড. মুহাম্মদ ইউনূসফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা লিভ টু আপিলের শুনানি আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যদের আপিল বিভাগ এ সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয়।

ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাটির কার্যধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তৎকালীন শীর্ষ ছয় কর্মকর্তা গত ৮ জুলাই আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দেন। অন্য ছয় আবেদনকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে সম্প্রতি লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এদিকে এরই মধ্যে রাষ্ট্র বা দুদকের পক্ষে পিপি মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। গত ১১ আগস্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

পরে লিভ টু আপিলকারীদের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের লিখিত আদেশ গত ২৮ আগস্ট হাতে আসার পর লিভ টু আপিল করা হয়। আর বিচারিক আদালতে ৫ সেপ্টেম্বর মামলার ধার্য তারিখ ছিল। তবে আমাদের (লিভ টু আপিলকারী) না জানিয়ে ও কোনো নোটিশ না দিয়ে দুদক বিচারিক আদালতে ১১ আগস্ট চিঠি দিয়ে জানায় যে মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই দিন পিপিও মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এই আবেদনের অনুলিপিও দেওয়া হয়নি। একই দিন মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। লিভ টু আপিলকারীদের সংবিধানের বিধান অনুসারে প্রতিকার পাওয়ার অধিকার আছে। আইনগত এই অধিকারপ্রাপ্তি ভূলুণ্ঠিত করতে তড়িঘড়ি করে মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করা হয়। ড. ইউনূস ও অন্যরা কোনো অনুগ্রহ চান না। আইনগতভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চান, যে কারণে লিভ টু আপিল করা হয়।’

এর আগে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।