মানবাধিকার সংগঠন ও কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ায় এসব সংগঠন ও কর্মীকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এর ফলে একধরনের ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। নাগরিক অধিকারচর্চা এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে নাগরিক অধিকারচর্চা ও দাবি করার ক্ষেত্র ক্রমে সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের (এইচআরএফবি) পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে সই করেছেন ২৩ সদস্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে নাগরিক ও মানবাধিকারকর্মী এবং মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনগুলো দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। কিন্তু এই অবদানকে মূল্যায়ন না করে, বিভিন্ন সময়ে তাদের আক্রমণ ও হয়রানি করা হচ্ছে এবং কাজের ক্ষেত্র ও গতি সংকুচিত করতে নানা আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।

বিগত কয়েক বছরের বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, অথবা মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতি যেকোনো দেশের জন্য অশনিসংকেত এবং একটি গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায়।

এইচআরএফবির প্রতিনিধিরা এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং হয়রানি বন্ধ ও নিবর্তনমূলক আইনগুলোর অপপ্রয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এইচআরএফবির সদস্যদের মধ্যে বিবৃতিতে সই করেছেন:

মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেন, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদুল ইসলাম খান, এইচআরএফবি এক্সপার্ট রাজা দেবাশীষ রায়, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. নূর খান, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, স্টেপস স্টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের (স্টেপস) নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির (বিএসডব্লিউএস) নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ, অ্যাসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশনের (এএসএফ) নির্বাহী পরিচালক সরদার জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের চেয়ারপারসন বিভূতোষ রায়, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ফেয়ারের পরিচালক দেওয়ান আখতারুজ্জামান, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক বেবী, নারীপক্ষের সভানেত্রী তাসনীম আজীম, ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অব ডিজঅ্যাবল্ড পিপলস অর্গানাইজেশনসের প্রেসিডেন্ট আবদুস সাত্তার দুলাল ও উইমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন্নেসা মিষ্টি।