ঈশ্বরদীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত

সড়ক দুর্ঘটনাপ্রতীকী ছবি

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গোকুলনগর এলাকায় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে।

নিহত দুজন হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরের আবদুস সোবহানের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫) ও ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের পিয়ারাখালী মহল্লার নাজমুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (১৫)। তাঁরা দুজনই দুটি মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন। এ ঘটনায় সিয়াম হোসেন (১৬) নামের মিজানুরের বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে বন্ধু সিয়ামকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয় মিজানুর। তারা ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দিকে যাচ্ছিল। মোটরসাইকেলটি ঈশ্বরদীর গোকুলনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তিনজনকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা আড়াইটার দিকে দুজন মারা যান। সিয়ামকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

নিহত মিজানুরের বাবা নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলে বলছিল, মা ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত রান্না করিও, বাড়ি ফিরে মাছ-ভাত খাব। ছেলের মা ভাত রান্না করে অপেক্ষা করছিল। কিন্তু ছেলেটার সেই ভাত আর খাওয়া হলো না। তার আগেই ছেলেটা আমার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল।’

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের দুই চালক নিহত হয়েছেন। অন্যজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। কেউ কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। লাশ উদ্ধারের পর কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।