বিএনপি নেতা হাবিব হাজির হননি, অবস্থান জানাতে নির্দেশ

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিবের প্রতি আদালত অবমাননার রুল দিয়ে ব্যাখ্যা জানাতে তাঁকে আজ সোমবার হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে আজ হাবিব বা তাঁর পক্ষে কোনো প্রতিনিধি আদালতে হাজির হননি। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁর অবস্থান জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে শুনানির জন্য আদালত ৮ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ রেখেছেন।

শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘উনি (হাবিব) বাইরে থেকে আদালতে না এলে এক কথা। আর ভেতরে (কারাগার) গিয়ে না আসতে পারলে আরেক কথা।’

এর আগে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সম্পর্কে হাবিবের দেওয়া বক্তব্য ইউটিউব ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ-সংক্রান্ত নথি উত্থাপিত হলে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে পাঠান। সঙ্গে অভিযোগসংক্রান্ত ভিডিও ক্লিপও পাঠানো হয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর তৎকালীন বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। তিনি ২০১৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

গত ১৫ অক্টোবর বিষয়টি হাইকোর্টের উল্লিখিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় ওঠে। লিখিত আকারে হাবিবের দেওয়া বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়। শুনানি নিয়ে সেদিন হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল দেন। এ বিষয়ে নিজের ভূমিকা ব্যাখ্যা দিতে হাবিবকে ৬ নভেম্বর সশরীর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত ভিডিও কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।

আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান শুনানি করেন। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

পরে আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফেসবুক ও ইউটিউবে থাকা দুটি লিংক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হলফনামা আকারে এই তথ্য আদালতে দাখিল করা হবে, যা প্রক্রিয়াধীন।’