হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল শুনানি পেছাল

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছে। লিভ টু আপিলকারী পক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এ আদেশ দেন।

জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন–সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা লিভ টু আপিলটি করেন।

আদালতে জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম রব্বানী ও হেলাল উদ্দিন। জি এম কাদেরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মো. ওয়াজি উল্লাহ ও খাজা তানভীর আহমেদ।

পরে জিয়াউল হক মৃধার আইনজীবী গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, সম্পূরক কিছু তথ্য দাখিলের জন্য সময় চাওয়া হয়। আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। লিভ টু আপিলের ওপর আগামী রোববার শুনানি হতে পারে।

এর আগে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ওপর দেওয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জি এম কাদেরের করা আবেদন ও বিবিধ আপিল খারিজ করে আদেশ দেন নিম্ন আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্ট রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে তাঁর আবেদন খারিজ করে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত এবং বিবিধ আপিল খারিজ করে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার জেলা জজের দেওয়া আদেশ অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ফলে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালানোর ক্ষেত্রে বাধা কাটে।

এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে জিয়াউল হক মৃধা ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা একই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। এর মধ্যে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হওয়ায় আদালত আবেদনকারীকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেন। পরে জিয়াউল হক মৃধা লিভ টু আপিল করেন, যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।