আচরণবিধি দেখতে মাঠে থাকবেন ৮০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের চাহিদা কমিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে কমবেশি ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয় বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার ইসি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছিল, তাতে আড়াই হাজারের বেশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে হতো।
২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরা দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি উপজেলায় ১ জন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের বেশি (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলায় ২ জন, জেলা সদরের ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভায় ১ জন (ওয়ার্ড ৯টির বেশি হলে ২ জন) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০ জন, খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬ জন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪ জন এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে। সব মিলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হবেন ৮০২ জন। এটি কমবেশি হতে পারে।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে পরামর্শ করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা এই সংখ্যার কমবেশি করতে পারবেন। তা ছাড়া প্রতিটি জেলায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন ১ বা ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে। যাতে জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ভোট গ্রহণের কয়েক দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের ২ দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল স্টাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা এ ধরনের বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। তাই ওই সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হবে।