বৃষ্টি নেই, তারপরও পানিতে ডুবেছে চট্টগ্রামের ব্যস্ত সড়ক
আকাশে মেঘ-বৃষ্টি কিছুই নেই। দিনভর ছিল কড়া রোদ। এমন আবহাওয়ার মধ্যেও সড়কের ওপর গোড়ালিপানি জমে রয়েছে। তা থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। এই পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়েছে পথচারীদের। পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে।
আজ শনিবার চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। নগরের উঁচু এলাকাগুলোর একটি জিইসি মোড়। একসময় এই এলাকায় কখনো পানি জমত না। কয়েক বছর ধরে বৃষ্টিতে এখানে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ব্যস্ত এই মোড়ে পানি জমে ছিল। সকালে পানি বাড়লেও দুপুরের পর থেকে পানি কমতে শুরু করে।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, নালার ভেতরে পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক তলিয়ে গেছে। শুরুতে এই প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা যায়নি। তা খুঁজে বের করতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। বাধা অপসারণের পর বিকেলে পানি নেমে যায়।
সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, জিইসি মোড়ে নালার ভেতরে প্রতিবন্ধকতা থাকায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য রাস্তা তলিয়ে গেছে।
দিনভর জলাবদ্ধতা হওয়ায় মানুষ বিপাকে পড়েন। সকাল ১০টার দিকে রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে। ধীরে ধীরে পানি বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তা গোড়ালি পরিমাণ জমে যায়।
জিইসি মোড়ে ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী সুমন বৈদ্য। তিনি বলেন, বৃষ্টি নেই, ঝড় নেই। এর মধ্যে জিইসি মোড়ের রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। বৃষ্টির সময়েও জলাবদ্ধতা হয়, এখন বৃষ্টি না হলেও জলাবদ্ধতা হচ্ছে।
রাসেল তালুকদার নামের আরেক চাকরিজীবী বলেন, সকালে অফিসে যাওয়ার পথে জিইসি মোড়ে গোড়ালিসমান পানি জমে থাকতে দেখেন। পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। রোদ থাকার পরেও যদি পানি জমে যায়, তাহলে সিটি করপোরেশন কী করে? নালা পরিষ্কার থাকলে তো পানি জমার কথা নয়।
সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম বলেন, সিডিএ অ্যাভিনিউর জিইসি কনভেনশন সেন্টার থেকে সেন্ট্রাল প্লাজার দিকে একটি নালা রয়েছে। এখন নালার মাঝ বরাবর বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য জমে গেছে। মানুষের ফেলা বর্জ্য এখানে এসে জমে যায়। তা খুঁজে বের করতে সময় লেগেছে। তাই দীর্ঘক্ষণ ধরে পানি জমে ছিল।