সদরঘাটে পাঁচজনের মৃত্যু, দুই লঞ্চের ৫ জনের ‘দায় স্বীকার’

তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে একই পরিবারের ৩ যাত্রীসহ ৫ জন নিহত হন। পন্টুনে ভেড়ানোর অপেক্ষায় ফারহান-৬ লঞ্চ (বাঁ পাশে পেছন দিকে)। সদরঘাট, ঢাকা, ১১ এপ্রিল ২০২৪ফাইল ছবি

রাজধানীর সদরঘাটে এক লঞ্চের ধাক্কায় অপর লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায় স্বীকার করেছেন দুটি লঞ্চের পাঁচ কর্মী। রিমান্ডের শেষ দিনে আজ রোববার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা এ কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঈদের দিন বিকেলে সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ বাঁধা ছিল। বেলা তিনটার কিছুক্ষণ আগে এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান-৬ নামের আরেকটি লঞ্চকে পন্টুনে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় এমভি তাশরিফ-৪-এর রশি ছিঁড়ে পন্টুনে অপেক্ষমাণ পাঁচ যাত্রীকে আঘাত করে। এতে তাঁরা মারা যান।

পুলিশ জানায়, পাঁচ যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় গত শুক্রবার ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার আবদুর রউফ (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মোহাম্মদ সেলিম হাওলাদার (৫৪), লঞ্চের পরিচালক শাহরুখ খান (৭০) এবং তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামানকে (২৭) গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় দায় ছিল বলে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ওই পাঁচ আসামি। তিন দিনের রিমান্ড শেষে আগামীকাল সোমবার তাঁদের ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে হাজির করা হবে।

আরও পড়ুন

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঘাটিচোরা গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন (৩৭), তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৬) ও তাঁদের মেয়ে মাইশা (৩)। নিহত অপর দুজন হলেন পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (২৭) ও ঠাকুরগাঁওয়ের মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ রবিউল (১৩)।