ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়ে এনএসইউতে ওয়েবিনার

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সিপিএস ওয়েবিনারের আয়োজন করেছবি: সংগৃহীত

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) সেন্টার ফর পিস স্টাডিজের (সিপিএস) উদ্যোগে ‘ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন: ইজ দ্য টু-স্টেট সলিউশন স্টিল ভায়াবাল?’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারটি সিপিএসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি প্রচার করা হয়ে।

ওয়েবিনারের মূল বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দোহা অ্যান্ড ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাওয়ের (ডিএওন) সেন্টার ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান স্টাডিজের (সিএইচএস) অনাবাসিক ফেলো মঈন রাব্বানী। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

মঈন রাব্বানী বলেন, কিছু নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডাসহ অনেকেই দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বিরোধিতা করেন। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের রাজনৈতিক ইচ্ছা, যা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দখলের বর্তমান স্থিতাবস্থা বজায় রাখছে। তা ছাড়া অসলো চুক্তি দখলদারত্বের অবসানের ফর্মুলা ছিল না। অসলো চুক্তি ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত যা ঘটেছিল তার তুলনায় আরও তীব্র দখলদারত্ব এখন দেখা যায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নিলে এই দখলদারত্ব অব্যাহত থাকবে।

অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি স্কলার মোহাম্মদ সুলেমান বিশ্বের ক্ষমতাধারী দেশগুলোর শক্তির ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের কার্যকলাপের কারণে বসতি স্থাপনকারী ঔপনিবেশিকতা টিকে আছে। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন হস্তক্ষেপ না করলে চরমপন্থী ইসরায়েলি সরকার সামরিক পদক্ষেপ চালিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন এনএসইউর রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান (পিএসএস) বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। এতে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ভারপ্রাপ্ত ডিন এবং সিপিএস ও এসআইপিজির পরিচালক অধ্যাপক এস কে তৌফিক এম হক এবং সিপিএসের সমন্বয়কারী আবদুল ওহাব।