৮১% হাসপাতালে মানসম্পন্ন স্যানিটেশন নেই

সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি মানা জরুরি। দেশের হাসপাতালগুলোতে এর ঘাটতি ব্যাপক।

দেশের ৮১ শতাংশ হাসপাতালে মানসম্পন্ন স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই। ৬৬ শতাংশ হাসপাতালে হাত ধোয়ার বা জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা চোখে পড়ে না। আর প্রয়োজনীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করছে না ৬৩ শতাংশ হাসপাতাল। এমনকি ২১ শতাংশ হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের যথাযথ ব্যবস্থা নেই।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পানি, স্যানিটেশন, হাত ধোয়ার সুযোগ-সুবিধা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এই চিত্র তুলে ধরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগনির্ণয়কেন্দ্রে পানি, স্যানিটেশন, হাত ধোয়ার সুযোগ-সুবিধা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অগ্রগতিবিষয়ক এই বৈশ্বিক প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে।

টিকা গ্রহণ, সাধারণ রোগের পরীক্ষা, মাতৃস্বাস্থ্য পরীক্ষার মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি চিকিৎসা নিতে মানুষ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও সেবাকেন্দ্রে যায়। সাধারণভাবে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিশুদ্ধ পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার কথা। মানুষ আশা করে, স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে স্যানিটেশনব্যবস্থা হবে উন্নত, থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এসবের বিপরীত চিত্রই ফুটে উঠেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের প্রতিবেদনে।

‘একটি ভালো দিক হচ্ছে পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তথ্য এখন পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেই তথ্যের মধ্য দিয়ে যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেটা অনেকটাই হতাশাজনক। সম্মিলিত উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এই পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন সম্ভব।
খায়রুল ইসলাম, বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইডের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান

জাতিসংঘের এই বিশেষায়িত সংস্থা দুটি যৌথ পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির (জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রাম—জেএমপি) মাধ্যমে সদস্যদেশগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, স্যানিটেশন, পয়ঃব্যবস্থা নিয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এবার প্রতিবেদনে তারা জোর দিয়েছে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরিস্থিতির ওপর। সংস্থা দুটি বলছে, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ বাড়াতে হবে, স্যানিটেশন উন্নত করতে হবে, সেবাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নত করতে হবে।

মূল গুরুত্ব সংক্রমণ প্রতিরোধে

রোগীরা রোগ ও সংক্রমণ নিয়েই হাসপাতালে আসে। কিন্তু হাসপাতালে এসে রোগী, রোগীর আত্মীয় এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা নতুন করে সংক্রমণের শিকার হন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে, বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি, স্যানিটেশনব্যবস্থা না থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, স্বাস্থ্যবিধি না মানা—এসবের সঙ্গে সংক্রমণের সম্পর্ক আছে। এগুলো উন্নত ও মানসম্পন্ন হলে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

পরিসংখ্যান বলছে, উন্নত বিশ্বে তীব্র অসুখে ভোগা রোগীদের ৭ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন করে সংক্রমণের শিকার হয়। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এই হার ১৫ শতাংশ। উন্নত বিশ্বে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৩০ শতাংশ নতুন রোগে আক্রান্ত হয়। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে তা ২ থেকে ২০ গুণ বেশি। নবজাতকের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।

বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি মানা, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা—এসব নিশ্চিত না করে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এসবের ঘাটতি থাকলে স্বাস্থ্যকর্মীরা মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অপারগ হয়ে পড়েন। পানি-স্যানিটেশন এবং রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি একে অন্যের পরিপূরক। দেখা গেছে, যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পানি ও স্যানিটেশনব্যবস্থা দুর্বল, সেসব জায়গায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রে জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। আবার হাসপাতালের অপরিশোধিত তরল বর্জ্য নদীনালায় মিশ্রিত হওয়ার ফলেও জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে পড়ছে—এমন নজির আছে।

অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হওয়া নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে গবেষণা করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের প্রতিবেদনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে এই ওষুধবিজ্ঞানী প্রথম আলোকে বলেন, একজন রোগী দেখার পর হাত জীবাণুমুক্ত করে অন্য রোগী দেখতে হয়। তা করা না হলে রোগ ছড়ায়। হাসপাতালে ব্যবহৃত সুই, গজ-ব্যান্ডেজ এবং রোগীর মল-মূত্র থেকেও জীবাণু ছড়াতে পারে। সুতরাং প্রতিনিয়ত হাত জীবাণুমুক্ত রাখা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি সব ধরনের বর্জ্য পরিশোধন করা।

হাসপাতালে পানির সংকট

মৌলিক পানি সরবরাহসেবার কিছু বৈশিষ্ট্য ঠিক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। তারা বলছে: পানির মান হবে উন্নত, পানি থাকবে পর্যাপ্ত এবং সেই পানি থাকবে হাসপাতালের চৌহদ্দির মধ্যে। অর্থাৎ প্রয়োজনের সময় পানির জন্য হাসপাতালের বাইরে যেতে হবে না।

দেশে ৭৯ শতাংশ হাসপাতালে এমন ব্যবস্থা আছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ২১ শতাংশ হাসপাতালে প্রয়োজনের সময় পানি পাওয়া যায় না বা পানির জন্য হাসপাতালের বাইরে যেতে হয়। পানি প্রাপ্যতার দিক থেকে সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে কিছুটা খারাপ। বেসরকারি ৮৮ শতাংশ হাসপাতালে মৌলিক পানি সরবরাহসেবার ব্যবস্থা আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে তা ৭১ শতাংশ। অর্থাৎ ২৯ শতাংশ সরকারি হাসপাতাল পানির সংকটের মধ্যেই মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে।

হাসপাতাল ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানে পানির সরবরাহ পরিস্থিতির উল্লেখ আছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, ৬৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে মৌলিক পানি সরবরাহসেবা আছে। ২৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে এই সেবা আছে সীমিত পর্যায়ে। তবে ৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে পানির কোনো ব্যবস্থাই নেই।

হাতে জীবাণু, টয়লেটে নেই সাবান

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বা চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসকসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর হাত থাকতে হবে জীবাণুমুক্ত। তা না হলে একজন রোগীর জীবাণু অন্য রোগীর শরীরে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনি স্বাস্থ্যকর্মী নিজেরও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

অন্যদিকে হাসপাতালের টয়লেটে পানি ও সাবানের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যেন প্রয়োজনের সময় রোগী ও রোগীর আত্মীয় তা ব্যবহার করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ হাত জীবাণুমুক্ত থাকার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

বৈশ্বিক এই প্রতিবেদন বলছে, হাত জীবাণুমুক্ত রাখার মৌলিক ব্যবস্থা আছে ৩৪ শতাংশ হাসপাতালে। এই সুযোগ সীমিত আকারে আছে ৬৩ শতাংশ হাসপাতালে। অর্থাৎ এসব হাসপাতালে সেবা দেওয়ার স্থানে হাত জীবাণুমুক্ত রাখা, টয়লেটে পানি এবং টয়লেটে সাবান—এই তিনটির যেকোনো দুটির ঘাটতি আছে। বাকি ৩ শতাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিকে এর কোনো কিছুই নেই।

তবে বেসরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি সরকারি হাসপাতালের চেয়ে কিছুটা ভালো বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

হাসপাতালেই স্যানিটেশনব্যবস্থা দুর্বল

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ বলছে, হাসপাতালে সেবা নিতে আসা প্রত্যেক রোগী, রোগীর সঙ্গে থাকা পরিদর্শক ও স্বাস্থ্যকর্মী—প্রত্যেকের জন্য হাসপাতালে নিরাপদ টয়লেটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। পুরুষ ও নারীর জন্য থাকবে আলাদা ব্যবস্থা। এসব ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে নারীদের মাসিক সময়কালের বিষয়গুলো মাথায় রেখে।

পরিসংখ্যান বলছে, আদর্শ স্যানিটেশনব্যবস্থা নেই বাংলাদেশের ৮১ শতাংশ হাসপাতালে। ৭৭ শতাংশ হাসপাতালে আংশিক ব্যবস্থা আছে। অন্যদিকে একেবারে কোনো ব্যবস্থা নেই ৪ শতাংশ হাসপাতালে।

নেই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

হাসপাতালে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দরকার সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। হাসপাতালে ব্যবহৃত সুই, গজ-ব্যান্ডেজসহ নানা জিনিস থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সে জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সব সময় জোর দিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মৌলিক বিষয় তিনটি: ধরন অনুযায়ী বর্জ্য আলাদা করা, দূষণমুক্ত করা ও নিরাপদ স্থানে রাখা। বৈশ্বিক প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশের মাত্র ৩৭ শতাংশ হাসপাতালে এই ব্যবস্থা আছে। আংশিক ব্যবস্থা আছে ৫৬ শতাংশ হাসপাতালে। ৬ শতাংশ হাসপাতালে কোনো ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাই নেই।

হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দিষ্ট কিছু বিধিবিধান আছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের কর্মীদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোর কত শতাংশ এই বিধিবিধান মেনে চলে, তার কোনো পরিসংখ্যান বৈশ্বিক প্রতিবেদনে নেই। তবে ২৭ শতাংশ হাসপাতালের কর্মীরা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে।

সর্বজনীন ব্যবস্থার সুপারিশ

পানি, স্যানিটেশন, হাত জীবাণুমুক্ত রাখা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ—এই পাঁচটি সূচক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাসপাতালের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। সংস্থা দুটি বলছে, দেশে দেশে যেসব পার্থক্য আছে, তেমনি একই দেশের মধ্যেও পার্থক্য আছে। এই পার্থক্য দেখা যায়, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে, গ্রাম ও শহরের হাসপাতালের মধ্যে। আবার একই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। সাধারণ রোগী ও প্রতিবন্ধী রোগীর জন্য পৃথক সুযোগ-সুবিধা সব হাসপাতালে সমানভাবে থাকে না। এতে বৈষম্য তৈরি হয়।

বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালে দরিদ্র মানুষ বেশি সেবা নেয়। বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেয় সাধারণত সমাজের সচ্ছল বা উচ্চবিত্ত মানুষেরা। বৈশ্বিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি ভালো। মৌলিক স্যানিটেশনব্যবস্থা আছে ১৭ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে, বেসরকারি হাসপাতালে তা ৩৪ শতাংশ।

হাত জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা আছে ৩২ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে। এই ব্যবস্থা আছে ৬৯ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতালে। ৩৫ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হয়, সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে তা ৩১ শতাংশ। উন্নত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা আছে ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে। বেসরকারি হাসপাতালে তা ৮৮ শতাংশ।

শুধু একটি ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতাল বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে এগিয়ে আছে। ৩২ শতাংশ সরকারি হাসপাতালের কর্মীদের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ আছে। অন্যদিকে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে ২৪ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতালের কর্মীরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

হাসপাতালে রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারের কর্মসূচি আছে। হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থপনারও পৃথক কর্মসূচি আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের প্রতিবেদনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবস্থান ও বক্তব্য নেওয়ার জন্য এই প্রতিবেদক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ (প্রশাসন) চারজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা কেউ মন্তব্য করতে বা বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইডের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান খায়রুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি ভালো দিক হচ্ছে পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তথ্য এখন পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেই তথ্যের মধ্য দিয়ে যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেটা অনেকটাই হতাশাজনক। সম্মিলিত উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এই পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন সম্ভব।