একজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না: ডিআইজি মিনা

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নূরে আলম মিনা। আজ সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের সামনেছবি: প্রথম আলো

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নূরে আলম মিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে একজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে আজ সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন নূরে আলম মিনা।

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রসহ বাংলাদেশে ‘ঢুকে পড়ার’ খবরের বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চান। জবাবে ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। যে ২৩ জন ঢুকেছে, তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সে জন্য সীমান্তে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তৎপর রয়েছেন বলে জানান নূরে আলম মিনা।

এর আগে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আনজুমানপাড়া সীমান্ত এলাকাসহ কয়েকটি সীমান্ত পরিদর্শন করেন ডিআইজি নূরে আলম মিনা। তিনি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। ওপারে যেহেতু মাঝেমধ্যে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে, তাই এপারের লোকজন একটু আতঙ্কিত হচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এপারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিআইজির সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান, জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি আবদুল মান্নান প্রমুখ।

২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ চলছে। ইতিমধ্যে বিজিপিকে হটিয়ে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত তিনটা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। এ সময়ে মিয়ানমার সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাঁরা বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন।