ফেনীতে গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
ফেনীতে ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। রোববার সন্ধ্যায় তাঁরা ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশে অবস্থান নিলে ওই মহাসড়কের দুই কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টাখানেক পর তাঁরা মহাসড়ক ছেড়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিক্ষোভকারীরা জানান, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ফেনীতে গুলিবিদ্ধ ও আহতদের পুনর্বাসন, ক্যাটাগরি পদ্ধতি বাতিলসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করলে যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করলে তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে যান।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী আজিম বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও উন্নত চিকিৎসার অভাবে আমাদের সহযোদ্ধারা মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছেন। প্রশাসন আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বললেও আমরা তাদের কথায় আশ্বস্ত হতে পারছি না। বাধ্য হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করতে হয়েছে।’
গণ–অভ্যুত্থানে আহত নাহিদ বলেন, ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি চাই। দাবি আদায় না হলে মহাসড়কের পাশাপাশি রেলপথ অবরোধ করা হবে। তবে পুলিশ আলোচনার জন্য আমাদের সঙ্গে বসবে বলেছে। এ জন্য মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। দাবি না মানলে পরবর্তী সময় আবারও আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।’
ফেনী মডেল থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।