চট্টগ্রামে কলেরার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন
চট্টগ্রামের বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহর এলাকার ১ লাখ ৩৫ হাজার অধিবাসীকে কলেরার টিকা দেওয়া হবে। এসব এলাকায় ৪৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রথম ডোজ কলেরা টিকাদান কার্যক্রম গতকাল রোববার উদ্বোধন করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কার্যক্রম ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
গতকাল চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে সিটির মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এই টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম, আইসিডিডিআরবির সংক্রামক রোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ পরিচালক ফেরদৌসী কাদরী।
আইসিডিডিআরবির সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী এবং সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (সিডিসি) ডা. অনিন্দ্য রহমান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) তত্ত্বাবধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরোশেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আইসিডিডিআরবি এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিকস কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি দুই ডোজের ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের দেওয়া হবে। গর্ভবতী এবং যারা গত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা গ্রহণ করেছে, তারা ছাড়া সবাই এই টিকা নিতে পারবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফেরদৌসী কাদরী বলেন, ‘বাংলাদেশের কলেরা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা ২০১৯-৩০ থেকে আমরা জানি, ১৪৪টি এলাকা কলেরার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে চট্টগ্রামের অনেকগুলো এলাকা রয়েছে। আমি আশাবাদী যে এই টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা বন্দর থানার ওয়ার্ড ৩৮ ও ৩৯-এর ঝুঁকি কমাতে পারব।’
অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম কলেরা নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ‘আজকের টিকাদান কর্মসূচি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামে কলেরা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রমের সূচনা হলো।’
চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় কলেরার প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি।