চট্টগ্রামের রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাগানবাড়ি থেকে এক কৃষিশ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মুহাম্মদ ইউসুফ মিয়া (৫৫)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ওই ওয়ার্ডের ফকিরতকিয়া গ্রামে ফজলে করিমের বাগানবাড়িটি অবস্থিত। আজ রোববার দুপুরে বাগানবাড়িটির গরুর খামারের মেঝে থেকে ইউসুফ মিয়ার লাশ উদ্ধার হয়।
নিহত ইউসুফ মিয়া কয়েক বছর ধরে ফজলে করিমের বাগানবাড়ির ওই খামারে কাজ করতেন। প্রায় এক বছর আগে তিনি কাজ ছেড়ে দেন। তবে এলাকার কৃষিজমিতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে আসছিলেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ফজলে করিম চৌধুরীর ওই খামারে কয়েক শ গরু, পাঁচ-সাতটি হরিণ এবং চার-পাঁচটি ঘোড়া ছিল। এ ছাড়া নানা ধরনের কৃষিখেত ও ফলদ বাগান রয়েছে। বাগানবাড়িটিতে ১২-১৫ জন শ্রমিক কাজ করতেন। তবে ৫ আগস্ট সবাই চলে গেছেন।
পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত শনিবার রাতের কোনো এক সময় ইউসুফকে হত্যা করে খুনিরা পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খামারের কাছেই এলাকার এক বাসিন্দার জমিতে শনিবার দিনভর কাজ করেছেন ইউসুফ। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। সকালে পরিবারের সদস্যরা সাবেক সংসদ সদস্যের বাগানবাড়িতে ইউসুফের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকার খবর পান।
নিহত ইউসুফ মিয়ার ছেলে মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাবা সাবেক সংসদ সদস্যের ওই বাগানবাড়ির ব্যবস্থাপকের কাছে মজুরি বাবদ ২৬ হাজার টাকা পাওনা রয়েছেন। পাওনা চাওয়ায় তাঁর বাবাকে একাধিকবার শাসানো হয়েছে। ওই বাগানবাড়িতে তাঁর বাবা কি স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন, নাকি কেউ তাঁকে সেখানে ডেকে নিয়ে গেছেন তিনি জানেন না। বাগানবাড়ির ভেতরেই তাঁর বাবাকে খুন করা হয়।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।