দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন আইসিইউতে, ব্যথায় কাতরাচ্ছেন ছয়জন

শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে যাওয়ার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কায় আহত কলেজ শিক্ষার্থী মো. মোরশেদ। আজ বেলা দেড়টায় চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের যাওয়ার সময় হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আহত দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছয়জনকে রাখা হয়েছে ওই হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ছাদে থাকা শিক্ষার্থী ও কয়েকজন সাধারণ যাত্রী গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান। এরপর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছয়জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন নয়জন। এর মধ্যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী অংশৈনু মারমা (২০), বাংলা বিভাগের খলিলুর রহমান (২০) ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন (২০)।

আরও পড়ুন

এই তিনজনের বিষয়ে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ও অবেদনবিদ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণয় দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, আমজাদের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনজনেরই মাথায় আঘাত রয়েছে। তবে অবস্থা স্থিতিশীল।

চমেক হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন বাংলাদেশ স্টাডিজের তাইজুল ইসলাম (২১), আবু সাইদ (২৪), ইংরেজি বিভাগের মোহাম্মদ সান আহম্মেদ (২১), নৃবিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ রাফসান (২৩), নাজিরহাট কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল রহমান (১৯) ও গুলতাজ মেমোরিয়াল কলেজের মোহাম্মদ মোরশেদ (২০)। আজ শুক্রবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন কেউ কেউ। আর কেউ বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।

চিকিৎসাধীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ। আজ বেলা দেড়টায় চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে
ছবি: জুয়েল শীল

আহত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন সহপাঠী প্রথম আলোকে বলেন, ঝড়ের কারণে একটি গাছ রেললাইনের দিকে হেলে পড়েছিল। ওই গাছের সঙ্গে লেগেই আহত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ট্রেনের বগি কম ছিল। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়েছেন ট্রেনের ছাদে উঠতে। ট্রেনের বগি বাড়ানো হলে আর ছাদে ওঠার বিষয়ে কঠোর হলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না।

এর আগে গতকাল রাতে দুর্ঘটনা ঘটার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরিবহন দপ্তরে মিছিল নিয়ে যান। পরে সেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাখা অন্তত ২৪টি বাস এবং ১৫টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন।

আরও পড়ুন