মাইগভে ১০ মাসে ১০ লাখ অনলাইন সত্যায়ন

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ

মাইগভ প্ল্যাটফর্মে বিদেশগামী অথবা বিদেশে অবস্থানকারী শিক্ষার্থী, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নানা ধরনের ১০ লাখ ই-অ্যাপোস্টিল সত্যায়ন হয়েছে। গত ১০ মাসে এসব সনদ সত্যায়ন হয়েছে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) প্রকল্প অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)।

বুধবার এটুআইয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যাপোস্টিল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি সত্যায়ন পদ্ধতি, যা জন্মনিবন্ধন, শিক্ষাগত সনদ, বিবাহ সনদের মতো সরকারি নথি বিদেশে গ্রহণযোগ্য করতে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ‘হেগ অ্যাপোস্টিল কনভেনশন’-এ যোগ দেওয়ার পর একই বছরের অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে এ সেবা চালু করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মাইগভ পোর্টালে ই-অ্যাপোস্টিল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সব শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ইনস্টিটিউট, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের নথি—সবই এখন ঘরে বসে অনলাইনে অ্যাপোস্টিল করা যাচ্ছে। আবেদন, ট্র্যাকিং ও ডকুমেন্ট জমা—সব এক প্ল্যাটফর্মে সম্পন্ন হয়। নথির কিউআর কোড স্ক্যান করে বিদেশি প্রতিষ্ঠান সরাসরি অনলাইনে তা যাচাই করতে পারে।

এটুআইয়ের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর বলেন, এখন নাগরিকেরা ঘরে বসেই তিন থেকে পাঁচ কার্যদিবসে অনলাইনে অ্যাপোস্টিল পাচ্ছেন। আগে প্রতি ডকুমেন্টে ৩ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হতো, এখন সরকার নির্ধারিত ২০০ টাকা ফি দিয়েই একই সেবা পাওয়া যাচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট নথির জন্য এ সেবা দিচ্ছে।

অ্যাপোস্টিল সেবাটি সম্পন্ন হয় কয়েকটি ধাপে। প্রথমে আবেদনকারী মাইগভ প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে আবেদন করেন ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করেন। এরপর সংশ্লিষ্ট সনদ ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান ওই ডকুমেন্ট যাচাই করে নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তর বা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তর অনলাইনে সত্যতা নিশ্চিত করে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিজিটাল সাইন ও কিউআর কোড–সংবলিত ই-অ্যাপোস্টিল ইস্যু করে; আবেদনকারী তা অনলাইনে সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নথির কিউআর কোড স্ক্যান করে বিদেশের কোনো সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি অনলাইনে যাচাই করতে পারে।